বাবার পিস্তল নিয়ে মেয়রপুত্রের হামলা: লাইসেন্স বাতিল

পাবনার ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা খ ম কামরুজ্জামান মাজেদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন।
লাইসেন্স করা পিস্তল নিয়ে দলীয় প্রতিপক্ষের ওপর মেয়রের ছেলের হামলার ঘটনায় ওই অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বাস রাসেল হোসেন। অস্ত্রের অবৈধ পরিবহন ও প্রদর্শনের মাধ্যমে লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কামরুজ্জামানের দাবি ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। লাইসেন্স বাতিলের বিরুদ্ধে তিনি আইনি লড়াই করবেন।
গত ২ মার্চ বাবার লাইসেন্স করা পিস্তল নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলার অভিযোগে মেয়রপুত্র কামরুল হাসান সজয়কে (২৭) আটক এবং পিস্তলটি জব্দ করে পুলিশ। কামরুল ছাত্রলীগের কর্মী বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এক ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার অভিযোগে মেয়রের ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ফরিদপুর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মেয়রের ছেলে জামিনে মুক্ত আছেন। তবে জব্দ করা অস্ত্রটি পুলিশ হেফাজতেই আছে বলে জানান ওসি।
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত ৫ এপ্রিল ওই অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী অনুমতি ছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র পরিবহন, প্রদর্শনের সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে একাধিক শর্ত ভঙ্গ হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্রটি অবৈধভাবে পরিবহনসহ হামলায় ব্যবহার হয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পৌর মেয়র কামরুজ্জামান মাজেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। তাকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে সব ঘটনা সাজানো হয়েছে।
অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের কোনো চিঠি পাননি দাবি করে মেয়র বলেন, চিঠি পেলে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হবেন।
Comments