মেঘনায় স্পিডবোট নিয়ে যাত্রীবাহী ট্রলারে ডাকাতি

নরসিংদী-ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলারে প্রকাশ্যে ডাকাতি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রাম থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দক্ষিণে মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলোকবালী ইউনিয়ন পুলিশ ফাঁড়ির ইন-চার্জ ইউসুফ আলী।
একটি স্পিডবোট নিয়ে ডাকাতদল ওই ট্রলারে থাকা ৫০-৬০ জন যাত্রীর কাছ থেকে নগদ অর্থ ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ট্রলারের যাত্রীদের বেশিরভাগই ছিলেন নরসিংদী সদরের আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামের। তারা ঈদের কেনাকাটার জন্য জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের সলিমগঞ্জ বাজারে যাচ্ছিলেন।
ট্রলারটি নবীনগরের সলিমগঞ্জ ও মুরাদনগরের সীমানায় মেঘনার চারটির শাখা নদীর সংযোগস্থলে পৌঁছালে, ১০-১২ জন ডাকাত স্পিডবোড নিয়ে হানা দেন। এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
মুরাদনগর গ্রামের ভুক্তভোগী শেফালি বেগম (৪৮) বলেন, 'আমার কানের দুল ও নগদ ৫০ হাজার টাকা ডাকাতরা নিয়ে গেছে। ঈদ উপলক্ষে পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে যাচ্ছিলাম। ডাকাতদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করেনি। যার সঙ্গে যা ছিল সবই নিয়ে গেছে।'
আরেক ভুক্তভোগী বকশালীপুর গ্রামের বাবুল মিয়া (৪০) বলেন, 'তারা আমার মোবাইল ও ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। তাদের কাউকে চিনতে পারিনি। তারা কেউ মুখোশে ছিলেন না। ডাকাতি করে তারা চরমোধোয়া এলাকার দিকে পালিয়ে যায়।'
ডাকাতির কবলে পড়া ট্রলারের মাঝি বকুল মিয়া (৫৩) বলেন, 'আমার ট্রলারে প্রায় ৫০-৬০ জন যাত্রী ছিল। ডাকাত দল নদীতে যাত্রীদের আটকে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়েছে। এই ঘটনার পর সলিমগঞ্জ বাজারে না গিয়ে ট্রলার চালিয়ে আমরা গ্রামে ফিরে আসি।'
আলোকবালী পুলিশ ফাঁড়ির ইন-চার্জ ইউসুফ আলী বলেন, 'আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যে এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, সে এলাকাটি আমাদের জোনের আওতাভুক্ত নয়। এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার আওতাভুক্ত।'
নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল মিয়া বলেন, 'ঘটনাস্থল আমাদের জোনের ভেতরে নয়। এটির নরসিংদীর রায়পুরা থানার অধীনে। তারপরও খোঁজ খবরে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
Comments