মিরপুরে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ, ইট-পাটকেল ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

আজ রোববার রাত ১০টা পর্যন্ত প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এ সময় ইটের আঘাতে  পুলিশ সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নিতে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও কাফরুল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল মোস্তফা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিরপুর পুলিশ কনভেনশন হলের পাশের গলিতে কেন্দ্রীয় মন্দিরের সামনে এক যুবককে মারধর করার সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে আনুমানিক দেড় শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জড়ো হয়েছিল। আমি মীমাংসা করার চেষ্টা করি।'

'সেখানে পুলিশও উপস্থিত হয়। পরে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে,' বলেন তিনি।

কাফরুল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।'

মারধরের শিকার সোহেল (৩১) নামে ওই যুবককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। তার বাসা মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশন এলাকায়। কাফরুলে তার হার্ডওয়ারের ব্যবসা রয়েছে।

হামলার কারণ বর্ণনা করে সোহেল সাংবাদিকদের বলেন, তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে কেউ একটি পোস্ট দিয়েছে। সেটিকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী তাকে মারধর এবং ছুরিকাঘাত করে।

হাসপাতালে কাফরুল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসেন ফয়েজ জানান, পুলিশ কনভেনশন হলের পাশে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই যুবককে মারধর করছিল। সে সময় আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তার পেটের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন।

Comments

The Daily Star  | English

If consensus commission fails, it will be a collective failure: Ali Riaz

He made the remarks in his opening statement during the 14th day of the second phase of dialogues with political parties

28m ago