রোগীর মৃত্যু: ল্যাবএইড হাসপাতালের ৬ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা

রোগীর মৃত্যু: ল্যাবএইড হাসপাতালের ৬ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকার ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে তাহসিন হাবিবুল্লাহ (১৭) নামে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় 'ভুল চিকিৎসার' অভিযোগে ৬ চিকিৎসকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত ২৩ জুন 'ভুল চিকিৎসায়' তাহসিনের মৃত্যুর অভিযোগে আজ সোমবার মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সাইফুল্লাহ, সহকারী সার্জন ডা. মাকসুদ, ডা. সাব্বির আহমেদ, ডা. মোশারফ হোসেন, ডা. কনক, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ এম শামীম এবং ল্যাবএইডের ধানমন্ডি শাখার ব্যবস্থাপক মো. শাহজাহান।

ওই কিশোরের বাবা মো. মনির হোসেন বাদী হয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেন।

অভিযুক্তদের ভুল চিকিৎসায় তার ছেলে তাহসিন হাবিবুল্লাহর মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। 

আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলার আবেদনকে নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।

বাদী মনির হোসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক চিকিৎসক।

অভিযোগে তিনি বলেন, 'গত মার্চে আমার ছেলে পেটে ব্যথায় ভুগছিল। পরে তাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে গেলে ডাক্তাররা অপারেশনের পরামর্শ দেন। পরে ২৭ মার্চ তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।'

'পরদিন ল্যাবএইডের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুল্লাহ প্রথম অপারেশন করেন। কিন্তু অপারেশনের পরও আমার ছেলের রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তবে এ কথা বলার পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরে ৬ এপ্রিল সকালে একই চিকিৎসক আবারও অপারেশন করেন', বলেন তিনি।

'ওই অপারেশনের পরও রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি। এমনকি অস্ত্রোপচারের সময় ছেলের পেট থেকে নাড়ির একটি অংশ কেটে ফেলা হয়। গত ৩ মাস ধরে এভাবেই চিকিৎসা চলছিল,' বলেন তিনি।

পরে তাহসিনের অবস্থা আরও খারাপ হয়। তার শরীরের ৩ জায়গা দিয়ে অবিরাম রক্তক্ষরণ হচ্ছিল এবং ২৩ জুন সকালে সে মারা যায়।

এ খবর পেয়ে ডা. সাইফুল্লাহ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ মনিরের।

অভিযোগের বিষয়ে ল্যাবএইড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ এম শামীম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই রোগী ৩-৪ মাস আগে ভর্তি হয়েছিল। তার অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল ছিল। কয়েকবার বোর্ড মিটিং করে প্রটোকল অনুযায়ী তার চিকিৎসা দেওয়া হয়। আমরা তাকে দেশের বাইরে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। তারা কেন এমন করল বুঝতে পারছি না।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Kuet returns to normalcy after 65 days of unrest

Around 10:00am, only a few police officers were seen patrolling near the main gate

24m ago