রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএনের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরসা কমান্ডার হোসেন মাঝি নিহত
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও রোহিঙ্গা অপরাধী চক্রের মধ্যে 'বন্দুকযুদ্ধে' একজন আরসা কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
আজ সকালে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ১৭ নম্বর ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হোসেন মাঝি (৪০) আরসার অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিলেন। কক্সবাজারের ৭ থেকে ৮টি শরণার্থী শিবিরে তার নির্দেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হতো বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) সৈয়দ হারুন অর রশীদ।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এই অধিনায়ক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশ আজ (সোমবার) খুব ভোরে ক্যাম্প ৮-এ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এই ক্যাম্পে গত শুক্রবারে ৬ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছিল।'
'অভিযানের সময় জানতে পারে ২০-৩০ জন সদস্য নিয়ে একটি অপরাধী চক্র ক্যাম্প ১৭ থেকে পুলিশ বাহিনীর দিকে আসছে।'
এই খবর পাওয়ার পর এপিবিএন সদস্যরা ক্যাম্প ১৭-এর দিকে আভিযান শুরু করে বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, 'ভোর ৫টার দিকে ক্যাম্প ১৭ তে উভয় পক্ষ একে অপরের মুখোমুখি হলে অপরাধী চক্র পুলিশ দলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।'
'জবাবে পুলিশ অপরাধীদের দিকে পাল্টা গুলি চালায় এবং বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়, যা সকাল ৭টা পর্যন্ত চলতে থাকে,' বলেন পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, 'বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে অপরাধী চক্র পাশের পাহাড়ে চলে যায় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে।'
সকাল ৭টার পর তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হোসেন মাঝির মরদেহ উদ্ধার করে বলে জানান।
এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার সকালে ক্যাম্প ৮-এ রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৫ জন আরসা সদস্য নিহত হন।
ওই দিন সন্ধ্যায় শিবিরের কাছেই আরেক আরসা সদস্যের ছুরিকাঘাত করা মরদেহ পাওয়া যায়।
ঘটনার আগের দিন, আরএসও সমর্থক বলে ধারণা করে এক রোহিঙ্গা নেতাকে (সাব মাঝি) কাছের একটি শিবিরে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছিল। আরসা সদস্যরা ওই ঘটনা ঘটিয়েছিল বলে আভিযোগ আছে।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ৩৩টি শরণার্থী শিবিরে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। তাদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক অভিযানের মুখে পালিয়ে এখানে এসেছিল।
Comments