কক্সবাজার

শীর্ষ কমান্ডারসহ ৬ আরসা সদস্য গ্রেপ্তার: র‌্যাব

আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার সামরিক কমান্ডার হাফেজ নূর মোহাম্মদসহ ৬ জনকে আটক করেছে র‌্যাব।
আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার সামরিক কমান্ডার হাফেজ নূর মোহাম্মদ। ছবি: সংগৃহীত

আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার সামরিক কমান্ডার হাফেজ নূর মোহাম্মদসহ ৬ জনকে আটক করেছে র‌্যাব।

র‍্যাব জানায়, আরসা কক্সবাজার ও এর আশপাশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়মিতভাবে খুন, ধর্ষণ, অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১৫ এর একটি দল গতকাল শুক্রবার রাতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকার গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ আরসার শীর্ষ কমান্ডার হাফিজ নুর মোহাম্মদকে (২৮) আটক করে।

আজ শনিবার সকালে কক্সবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, হাফিজ নূরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শামলাপুর ও বাহারছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও ৫ আরসা সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

তারা হলেন—ক্যাম্প ১৫-এর হোসেন জোহর (৩০) ও মো. ফারুক (২৩), এবং ক্যাম্প ১৬ এর মনির আহমেদ (৩৬), নুর ইসলাম (২৯) ও মো. ইয়াসিন (২১)। তারা সবাই আরসার শীর্ষ পর্যায়ের নেতা এবং সক্রিয় সদস্য।

তাদের কাছ থেকে ১টি পিস্তল, ১টি বিদেশি রিভলবার, ১টি শর্টগান, ৪টি এলজি, ৩টি রাম দা, গোলাবারুদসহ ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

খন্দকার আল মঈন বলেন, 'আরসার শীর্ষ কমান্ডার হাফিজ নূর ৩০-৩৫ সদস্যের একটি অপরাধী চক্রের নেতৃত্ব দেন। তারা কুতুপালং ক্যাম্প ও এর আশেপাশের এলাকায় নিয়মিত হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছে। তারা প্রতিবেশী দেশ থেকে দুর্গম সীমান্ত এলাকা দিয়ে অস্ত্র পাচার করে এবং সেই অস্ত্র দিয়ে অপরাধ করতো এবং স্থানীয় অপরাধী গোষ্ঠীকেও অস্ত্র সরবরাহ করতো।'

'স্থানীয়দের ভয় দেখিয়ে হত্যা ও অপহরণের হুমকি দিয়ে তারা চাঁদাবাজি করত। দাবি পূরণ না হলে তারা স্থানীয়দের অপহরণ করে এমনকি তাদের হত্যা করে গভীর পাহাড়ি এলাকায় লাশ লুকিয়ে রাখতো। মাদক চোরাকারবারিদের কাছ থেকে তারা টোলও আদায় করে এবং অপরাধ করার পর তারা গভীর বন ও পাহাড়ে আত্মগোপন করে,' বলেন তিনি।

র‍্যাব জানায়, হাফিজ নুর একজন তায়কোয়ান্দো ব্ল্যাক বেল্টধারী। তিনি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ তৈরিতে বিশেষজ্ঞ। ২০১৬ সালে সেকশন কমান্ডার হিসেবে আরসাতে যোগ দেন এবং আরসা সামরিক শাখার প্রধান ওস্তাদ খালেদের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক এবং নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।

২০১৭ সালে বাংলাদেশে আসেন হাফিজ নূর। প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি ক্যাম্প ৮ এর প্রধান কমিউনিটি নেতার দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ধীরে ধীরে কুতুপালং ক্যাম্পে আরসা-এর শীর্ষ সামরিক কমান্ডারদের একজন হয়ে ওঠেন।

Comments