নাটোর

আ. লীগের ২ পক্ষের দ্বন্দ্ব: যুবলীগ নেতার কবজি কেটে নিল প্রতিপক্ষ

রোববার রাতে হামলায় আহতদের নাটোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছবি: বুলবুল আহমেদ/স্টার

নাটোরে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হাতের কবজি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

আজ রোববার রাত ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে শহরের বলারিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জেলা যুবলীগের সভাপতি বাশিরুর রহমান খান চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুই পক্ষের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে এ ঘটনা ঘটেছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান গ্রুপের লোকজন পৌরসভার ৩ ওয়ার্ড যুবলীগ সেক্রেটারি মিঠুন আলীর ডান হাতের কবজি কেটে নিয়েছে।'

এ ঘটনায় আরও ৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

নাটোর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ শাহরিয়ার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। একজনের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। চিকিৎসার জন্য আমরা তাকে ঢাকায় নিতে বলেছি।'

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুর রহমান। তিনি বলেন, 'এ ঘটনার খবর পেয়েছি। পুলিশ অপরাধীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।'

বিবাদমান দুই গ্রুপের বিষয়ে জেলা যুবলীগের সভাপতি বাশিরুর রহমান খান চৌধুরী বলেন, 'কিছুদিন আগে শরিফুল ইসলাম রমজান গ্রুপের নেতা নান্নু শেখকে কুপিয়েছিল এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলের লোকজন। সে ঘটনার জেরে নান্নু শেখের লোকজন আজ মিঠুনের হাত কেটে নেয়।'  

এ ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্লিপ্ততাকে দায়ী করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান।

তিনি বলেন, 'কিছুদিন আগে জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নানু শেখকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করছে সন্ত্রাসীরা। সেই মামলায় মিঠুন অভিযুক্ত আসামি। ওই মামলায় যদি পুলিশ আসামিদের আইনের আওতায় আনতো তাহলে আজকের এমন ঘটনা হয়তো ঘটতো না।'

গ্রুপিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, 'আমি জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি, আমি কোনো গ্রুপ করি না। আওয়ামী লীগের সব লোকই আমার। যারা হামলার করেছে এবং যারা হামলার শিকার হয়েছে উভয়ই সন্ত্রাসী গ্রুপ। আমরা চাই সঠিক তদন্ত করে এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিক।'

Comments

The Daily Star  | English

No immediate tax relief despite inflation woes

There will be no tax relief for individuals in low- and middle-income brackets, at least in the next fiscal year, even though high inflation has significantly eroded their purchasing power over the last couple of years.

10h ago