বাউফলে  ২ আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ ইউপি চেয়ারম্যানের ‘দেহরক্ষী’ আটক

কেশবপুর ডিগ্রি কলেজের যে ঘর থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পুকু তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন বলে স্থানীয়রা জানান।
পটুয়াখালী
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ডিগ্রি কলেজের একটি টিনশেড ঘর থেকে ১টি পিস্তল, ১টি পাইপগান, ৫ রাউন্ড গুলি ও প্রচুর দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আনিচুর রহমান তালুকদার (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বাউফল সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শাহেদ আহমেদ চৌধুরী ও বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের পাশাাপশি আনিচুরকে আটক করেন।

কেশবপুর ডিগ্রি কলেজের যে ঘর থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পুকু তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন বলে স্থানীয়রা জানান। তাদের ভাষ্য, পুকু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ওই কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ। তিনি চলতি বছরের ৭ এপ্রিল অবসরে গেলেও এখনো কলেজের কর্তৃত্ব তার হাতেই আছে। আটক আনিচুর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চেয়ারম্যান পুকুর দেহরক্ষী হিসাবে পরিচিতি।

এ ব্যাপারে কেশবপুর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রুহুল আমিন খলিল বলেন, 'আমি এখানে নামমাত্র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। এখনো কলেজের সব কার্যক্রম সাবেক অধ্যক্ষ এবং ইউপি চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পুকু পরিচালনা করেন।'

ক্যাম্পাসের ওই ঘরটিতে কে বা কারা অস্ত্র রেখেছে সে ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন।

চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পুকুর দাবি, আটক আনিচুর রহমান তার দেহরক্ষী নন। এছাড়া অবসরের পরেও কলেজে তার কর্তৃত্ব জারি রাখার অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম আরিচুল হক বলেন, 'পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।'

Comments