আপিল খারিজ, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায় বহাল

high court
স্টার ফাইল ফটো

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল (লিভ টু আপিল) খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

এর ফলে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকল। 

আজ রোববার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এসময় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে প্রধান আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী ও তার অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

এজে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীনের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল বহাল থাকবে।

জামায়াতে ইসলামী ও এর আইনজীবীরা পরবর্তী ব্যবস্থার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি।

এদিকে রোববার শুনানির বিষয়ে দিন ধার্য থাকলেও জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে আসতে পারবেন না জানিয়ে ৬ সপ্তাহ সময় চেয়ে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তা আদালত গ্রহণ করেননি।

আজ একই দিনে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনসহ পৃথক দুটি আবেদনের ওপরেও শুনানি হওয়ার কথা ছিল। শেষ রিট আবেদনটিতে জামায়াতের নাম বা ব্যানার ব্যবহার করে সভা-সমাবেশ, মিছিলসহ যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আপিল বিভাগের আদেশ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

তিনি জানান, যেহেতু জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেওয়া হয়েছে তাই আদালত এই ২ আবেদন গ্রহণ করেনি।

এর আগে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আরেকটি রিট দায়ের করা হয়।

বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ আরও দুইজন গত ২৬ জুন জামায়াতে ইসলামীর লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দলটিকে বৈধ রাজনৈতিক দল হিসেবে দাবি করতে না পারার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেন।

একই দিন জামায়াতে ইসলামীর আমীর শফিকুর রহমানসহ পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক দল হিসেবে জনসভা করায় আদালত অবমাননার আবেদন করেন চাঁদপুরীসহ আরও দুজন।

জামায়াতে ইসলামীকে ঢাকায় কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেওয়ায় কয়েকজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগও আনা হয়।

আজ রোববার শুনানির সময় চাঁদপুরীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমির ও আহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Over 45 lakh cases pending in courts

Each HC judge is burdened with 6,552 cases, while Appellate Division judges are handling 4,446 cases each, and lower court judges 1,977 cases each.

1d ago