নোয়াখালীতে ৪ শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসাশিক্ষক গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার হওয়া মাদ্রাসাশিক্ষক সাইফুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর চাটখিলে চার ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাকে খিলপাড়া ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে চাটখিল থানা পুলিশ। আজ তাকে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত সাইফুল ইসলাম (২৬) উপজেলার শংকরপুর গ্রামের ইব্রাহীম খলিলের ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শিক্ষার্থীদের ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে চাইলে তাকে শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।

চাটখিল থানার ওসি মো. এমদাদুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাটখিল পৌরসভার সুন্দরপুর মহল্লায় মাদ্রাসাটির অবস্থান। পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর এই মাদ্রাসায় শিক্ষক আছেন ২৫ জন।

পুলিশ জানায়, বলাৎকারের শিকার শিশুদের বয়স ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। গত কয়েক মাস ধরে ভয় দেখিয়ে নুরানি শাখার শিক্ষক সাইফুল ইসলাম চার শিক্ষার্থীকে মাদ্রাসার ভেতরে বলাৎকার করেন। ভুক্তভোগী শিশুরা তাদের পরিবারকে বিষয়টি জানায়। পরে তারা চাটখিল থানায় অভিযোগ দেন। বৃহস্পতিবার এক শিশুর মা বাদী হয়ে চাটখিল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।

মাদ্রাসাটির পরিচালক আব্দুল্লাহ আল নোমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন বৃহস্পতিবার বিকালে কয়েকজন অভিভাবক মাদ্রাসায় এসে তাদের সন্তানদের নির্যাতনের অভিযোগ করলে তিনি ছুটিতে থাকা ওই শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে সুরাহা করার প্রস্তাব দেন। পরে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা থানায় ওসির কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিভাবকদের বক্তব্যে অসঙ্গতি রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

চাটখিল থানার (ওসি) মো. ইমদাদুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এক ভুক্তভোগী শিশুর মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। ওই মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

ওসি বলেন ওই শিক্ষকের অপকর্মের কথা মাদ্রাসার পরিচালক জানতেন। মাদ্রাসাটিতে ছাত্রীরাও থাকায়, এ ধরনের আরও কোনো ঘটনা আছে কিনা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

Comments

The Daily Star  | English

Ishraque alleges political obstruction in DSCC mayoral appointment

Announces establishment of 'Mayor's Cell' to monitor service delivery in the city

15m ago