সাভারে ২ স্কুলশিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম

নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের মারধরের অভিযোগ
ছবি: স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

সাভারে বাকবিতণ্ডার জেরে দুই স্কুলশিক্ষার্থীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ ঘটনায় আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার রাত ৮টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার রেডিও কলোনী স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন—দৈনিক যুগান্তরের সাভার প্রতিনিধি মতিউর রহমান ভান্ডারীর ছেলে জিসান প্রামাণিক (১৫) ও তার সহপাঠী সিয়াম রাজা (১৫)। জিসান বিপিএটিসি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও সিয়াম কলমা এলাকার ওয়াজ আলী স্কুলের একই শ্রেণির শিক্ষার্থী।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারীদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

আহত দুই কিশোরের পরিবারের ভাষ্য, স্কুলের বনভোজনের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের জের ধরে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ওই দুইজনকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।

আহত জিসানের বাবা মতিউর রহমান বলেন, 'প্রায় এক মাস আগে গাজীপুরের সাফারি পার্কে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বার্ষিক বনভোজনে গিয়েছিল বিপিএটিসি স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেসময় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাসে ওঠা নিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। পরে উপস্থিত শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সাময়িকভাবে মীমাংসা করা হয়। বিষয়টি জানার পর আমি স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করার পাশাপাশি পরবর্তীতে যেন আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাই।'

'রোববার সন্ধ্যায় ইফতারের পর বন্ধু সিয়ামের সঙ্গে রেডিও কলোনী এলাকায় যায় জিসান। সেসময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ২৫-৩০ জন কিশোর ধারালো অস্ত্র নিয়ে জিসান ও তার বন্ধু সিয়ামের ওপর হামলা করে।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমরা হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। অপরাধীদের আটকে অভিযান চালানো হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

4h ago