নরসিংদীতে কলেজশিক্ষার্থী অপহরণ, গ্রেপ্তার ৩

নরসিংদী সদর উপজেলার বড় বাজার থেকে কলেজছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের ছনপাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে নরসিংদী সদর থানায় আনা হয়।
কলেজশিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদী সদর উপজেলার বড় বাজার থেকে কলেজছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের ছনপাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে নরসিংদী সদর থানায় আনা হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে চার জনের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণের মামলা দায়ের করেছেন।

গ্রেপ্তার তিন জন হলেন মুজিবুর রহমান (২৫), ইরফান (২১) ও জিয়াউল হক মোবিন (২২)। প্রথম দুজনের বাড়ি সদর উপজেলা আলোকবালী ইউনিয়নের কাজিরকান্দি গ্রামে। তৃতীয় জনের বাড়ি শহরের বীরপুর এলাকায়।

নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তানভীর আহমেদ তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কলেজশিক্ষার্থী আলোকবালী ইউনিয়নের বাসিন্দা। একই এলাকার মাইনউদ্দিনের ছেলে অভিযুক্ত আনিকুল ইসলাম অরফে আশিক (২৩) দুই বছর ধরে তাকে উত্ত্যক্ত করছিল।

আজ বুধবার সকালে কলেজে যাওয়ার পথে নরসিংদী শহরের বড় বাজার সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তাকে তুলে নেওয়া হয়। তার সঙ্গে থাকা এক বান্ধবী মাইক্রোবাসের নম্বরসহ ঘটনার কথা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানায়। পরে কলেজ থেকে পুলিশকে অভিযোগ দেওয়া হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ছনপাড়া থেকে মুজিবুর, মোবিন এবং ইরফানকে গ্রেপ্তার এবং ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়।

পরে ভুক্তভোগীর মা আশিকসহ আরও তিন জনের নাম উল্লেখ করে সন্ধ্যায় মামলা দায়ের করেন।

বিকাশে টাকা লেনদেনে বাড়তি লাভের লোভ দেখিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত মাসে একটি মামলায় আসামি ছিলেন আশিক। ওই মামলায় অন্যান্য আসামির মধ্যে তার মা-বাবা ও এক ভাইও আছেন। এই মামলায় আশিক পলাতক ছিলেন। এর এক মাসের মধ্যে অপহরণের মামলায় আসামি হলেন আশিক।

নরসিংদী সদর থানার ওসি মো. তানভীর আহমেদ বলেন, 'মেয়েটিকে অপহরণ করার জন্য আশিক তিন জনকে পাঠিয়েছিলেন। বিকাশে প্রতারণার অভিযোগে আশিকের বিরুদ্ধে মামলার বাদী মুজিবুর ও ইরফানকে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অপহরণ করানোর চেষ্টা করেন। তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আশিককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।'

Comments