রিকশাচালককে রড দিয়ে পেটানোর অভিযোগে পুলিশ সদস্য ক্লোজড

আহত রিকশাচালক মো. ফজলু মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সাভারে অটোরিকশা রিকশাচালককে লোহার পাইপ দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক বিভাগের এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। 

এ ঘটনায় পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের র‌েকার চালক মো. সোহেল রানাকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অবস ও ট্রাফিক) আব্দুল্লাহিল কাফি দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে সাভারের গেন্ডায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে রিকশাচালককে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে ওই পুলিশ সদস্য। 

আহত রিকশাচালক মো. ফজলু মিয়াকে পরে উদ্ধার করে প্রথমে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে সাভার সুপার ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। 

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রিকশাচালক ফজলু ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ সকালে আমি অটোরিকশা নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক দিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলাম। পাকিজার সামনে থেকে মোটরসাইকেলে রেকার চালক সোহেলসহ দুজন আমাকে ধাওয়া করেন। গেন্ডা বাস স্ট্যান্ডের কাছে তারা আমাকে ধরে ফেলেন। থামাতে বললে আমি রিকশা থামাই। সে সময় তিনি একটি লোহার রড দিয়ে প্রথমে আমার বাম পায়ে আঘাত করেন। আমি হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তিনি ডান পায়ে রড দিয়ে আঘাত করেন।'

'এরপর আমি পড়ে যাই, আর উঠে দাঁড়াতে পারিনি। পেটানো দেখে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে ঘিরে ধরে। তখন তিনি সবার উদ্দেশ্য বলেন যে, আমি ভুল করেছি। চিকিৎসকরা বলেছেন, আমার পা ভেঙে গেছে। আমি রেকার চালকের বিচার চাই,' বলেন ভুক্তভোগী রিকশাচালক।

এ ঘটনার মহাসড়কে রিকশাচালকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। 

রিকশাচালক রুবেল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আহত ফজলুকে নিয়ে সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার সময় রেকার চালকের দুই দালাল আমাদের গতিরোধ করেন। পরে অন্যান্য রিকশাচালকরা বিষয়টি জানতে পেরে প্রেসক্লাবের সামনে থানা রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।'

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, 'রিকশাচালককে মারধরের অভিযোগ ওঠার পরপরই রেকার চালককে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষী প্রমাণিত হলে তাকে সাসপেন্ড করা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Govt cuts interest rates on savings tools

Finance ministry lowers rates on four key savings instruments

2h ago