ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্টকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের একদিন আগে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর এক এজেন্টকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
আহত এমদাদুল হক পলাশকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তার বাড়ি কসবা পৌর এলাকার শাহপুর গ্রামে।
রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে কসবা পৌর এলাকার শাহপুর বাজার সংলগ্ন সেতু এলাকায় হামলার ঘটনাটি ঘটে।
পলাশ কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া জীবনের অনুসারী। তিনি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এপিএস ছিলেন।
আজ সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া জীবন অভিযোগ করেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমান স্বপনের (কাপ-পিরিচ প্রতীক) সমর্থক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এমএ আজিজের নেতৃত্বে একদল যুবক পলাশের ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা ধারালো দা দিয়ে পলাশের মাথায় কোপ দেয় এবং হকিস্টিক ও স্টিলের পাইপ দিয়ে পিঠ, পা ও কপালে আঘাত করে৷
পলাশের স্বজনরা জানান, পলাশের সঙ্গে থাকা ছাত্রলীগ নেতা সোহাগের চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে আসে। তারা পলাশকে গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
পলাশের মা রিপনা বেগম জানান, যুবলীগ নেতা এমএ আজিজ প্রায়ই পলাশের বাবাকে রাজনৈতিক কারণে হুমকি-ধামকি দিচ্ছিলেন। এর পরই এই ঘটনা ঘটে। তিনি এমএ আজিজসহ হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
পলাশের স্ত্রী জুই আক্তার বলেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নিশ্চয় সকল ঘটনা জানেন৷ আমরা তার কাছে এ ঘটনার বিচার চাই৷
অভিযোগের ব্যাপারে এম এ আজিজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই আমি জড়িত নই। আহত পলাশ ও আমার বাড়ি একই গ্রামে হওয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন আমার নাম জড়িয়ে দোষারোপ করছে।'
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফয়সাল আল এহসান বলেন, রোগীর অবস্থা এখনো আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর তার অবস্থা সম্পর্কে বোঝা যাবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ওয়াসিম নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
এ ঘটনায় কসবা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে পারিবারিক সূত্র থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
Comments