দূতাবাস এলাকায় পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত, জাপান দূতাবাসের গাড়িচালকসহ গুলিবিদ্ধ ২

অভিযুক্ত কনস্টেবল কাউসার পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
কনস্টেবল কাউসারের গুলিতে নিহত মনিরুলের মরদেহ পড়ে আছে রাস্তায়। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

ঢাকার বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনের সড়কে কর্তব্যরত এক পুলিশ কনস্টেবলের গুলিতে অপর এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া, তার গুলিতে জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালকসহ আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

শনিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।

রাত ১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে আমাদের প্রতিবেদক জানান, তখনও গুলিবিদ্ধ কনস্টেবলের মরদেহ রাস্তার ওপরই ছিল।

সেখানে একটি সাইকেলও পরে আছে। সাইকেলটি কার বা সাইকেলের মালিকের কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

ওই এলাকায় দায়িত্বরত কয়েকজন পুলিশ সদস্য জানান, নিহত কনস্টেবলের নাম মনিরুল ইসলাম। তার সঙ্গে দায়িত্বরত অপর কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন।

তবে, কাউসার কেন মনিরুলকে গুলি করেছেন সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে পারেননি তারা।

পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত কনস্টেবল কাউসার পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন, 'একজন পুলিশ সদস্য গুলিতে মারা গেছেন। এ বিষয়টি জানতে পেরে আমরা এখানে এসেছি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।'

ফিলিস্তিন দূতাবাসে কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মীরা গুলির শব্দ শুনে বাইরে বের হয়ে আসেন।

দ্য ডেইলি স্টারকে তারা জানান, অন্তত চার-পাঁচ রাউন্ড গুলির শব্দ তারা শুনছেন।

গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, ফিলিস্তিন দূতাবাসের উত্তর পাশের গার্ডরুমে কনস্টেবল কাউসারের গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল নিহত হয়েছেন।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং তার গায়ে মোট তিনটি গুলি লেগেছে। এ ছাড়া, আরও একজন পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

যদিও ভোররাত আড়াইটার দিকে পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, 'দুজন নয়, একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।'

 

Comments