১০ দিনের রিমান্ডে টুকু, পলক ও সৈকত

শামসুল হক টুকু, জুনাইদ আহমেদ পলক ও তানভীর হাসান সৈকত। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিটে টুকু পলক ও সৈকতকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. ইউসুফ। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাশিদুল আলম আবেদন মঞ্জুর করেন। এসময় আদালতকক্ষে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন।

অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আদালত এলাকায় সেনাবাহিনী, বিজিবি ও বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, তারা সেখানে আত্মগোপনে ছিলেন।

গত ১৯ জুলাই নিউমার্কেট এলাকায় রিকশা চালক কামাল মিয়াকে হত্যার মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ঘটনার পর ভিকটিমের স্ত্রী ফাতেমা খাতুল অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে এই মামলা করেছিলেন।

রিমান্ড আবেদনের সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সঙ্গে আসামিদের সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের নির্দেশনাতেই অন্য আসামিরা অপরাধ সংঘটিত করেন।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পল্টনের ভিআইপি রোড মোড়ে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন কামাল (৩৯)। কিছুক্ষণ পর প্রতিবেশীর কাছ থেকে ফাতেমা জানতে পারেন তার স্বামী রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছেন।

ফাতেমা ও তার মেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কামালকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, ফাতেমা আবারও ঘটনাস্থলে যান এবং স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারেন যে কোটা আন্দোলনকারীরা ১৯ জুলাই ভিআইপি রোড মোড়ে জড়ো হয়েছিলেন। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও ফাঁকা গুলি চালায়। দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ায় আমার স্বামী আহত হন। দুর্বৃত্তরা এরপর গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে কামাল মিয়া রাস্তায় পড়ে যান।

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

7h ago