শেখ হাসিনা ও ২৭ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ২৭ সাংবাদিকসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট রাজধানীর শ্যামলীর রিং রোডে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মিরপুর বিসিআইসি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র নাসিব হাসান রিহানের বাবা গোলাম রাজ্জাকের পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী এমএইচ গাজী তামিম।
ওই আইনজীবী জানান, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ছোড়া গুলি রিহানের মুখে, মাথায় ও ঘাড়ে লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
দ্য ডেইলি স্টারের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, এ নিয়ে সাম্প্রতিক আন্দোলন ঘিরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৬৩টি হত্যা মামলা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে আটটি, অপহরণের অভিযোগে তিনটি এবং অন্যান্য অভিযোগে দুইটিসহ অন্তত ৭৬টি মামলা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত সাংবাদিকরা আওয়ামী লীগ সরকারের 'চাটুকার' এবং তৎকালীন সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে উসকানি দিতে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেন এবং এসব অপরাধকে বৈধতা দেন।
মামলায় আসামির তালিকায় থাকা সাংবাদিকরা হলেন—মোজাম্মেল বাবু, নবনীতা চৌধুরী, সুভাষ সিং রায়, আহমেদ জোবায়ের, তুষার আবদুল্লাহ, সাইফুল আলম, নঈম নিজাম, ফরিদা ইয়াসমিন, শ্যামল দত্ত, আবেদ খান, প্রভাষ আমিন, ফারজানা রূপা, শাকিল আহমেদ, মিথিলা ফারজানা, জায়েদুল আহসান পিন্টু, মঞ্জুরুল ইসলাম, আশিষ সৈকত, মানস ঘোষ, প্রণব সাহা, মাসুদা ভাট্টি, মুন্নি সাহা, জ ই মামুন, স্বদেশ রয়, সোমা ইসলাম, শ্যামল সরকার, অজয় দাস ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, আদাবর থানার সাবেক ওসি মাহাবুব রহমান, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, নিঝুম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মেসবাহ কামাল, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও সাবেক উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।
Comments