সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে

কামরুল ইসলাম
কামরুল ইসলাম। ফাইল ছবি

ঢাকার একটি আদালত আজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকালে নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে আট দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিপ কামরুলকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এরপর ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত আট দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

আদালতে কর্মরত এক উপ-পরিদর্শক দ্য ডেইলি স্টারকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

রিমান্ডের দাবিতে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ঢাকা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল সহিংসতা ও হত্যার বিষয়ে অবগত ছিলেন। পাশাপাশি, তিনি হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। এই ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-প্রমাণ জোগাড়ের জন্য তাকে রিমান্ডে নেওয়া আবশ্যক।

কামরুল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতকে বলেন, তিনি ঐ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন না বিধায় সে সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি বলেন, 'এই দিন দিন না। আমাদের দিন আবারও আসবে।'

এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

এক পর্যায়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা চিৎকার করে তার মন্তব্যের প্রতিবাদ জানান। তবে ম্যাজিস্ট্রেট তাদেরকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। 

শুনানির পর ম্যাজিস্ট্রেট রিমান্ড বাতিলের আবেদন নাকচ করেন এবং তাকে রিমান্ডে পাঠান।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা কামরুলকে আটক করেন।

১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী গণ আন্দোলনের সময়য় ঢাকার নিউ মার্কেট এলাকার প্রিয়াঙ্গণ শপিং সেন্টারের ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ (৪৫) নিহত হন।

এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাসহ মোট ১৩০ জনের বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট হত্যা মামলা করা হয়। নিহত ব্যবসায়ীর শ্যালক আব্দুর রহমান বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট নিউমার্কেট থানায় এ মামলা করেন।

মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সালমান এফ রহমান ও আমির হোসেন আমু। 

Comments

The Daily Star  | English

Scorched at work: Global report revealed dire heat risks for workers

A joint report released by the World Health Organisation (WHO) and the World Meteorological Organisation (WMO) exposed the growing dangers of extreme heat on workers’ health and productivity worldwide.

34m ago