আপিল খারিজ, তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায় বহাল

তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা চার চাঁদাবাজির মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আজ রোববার বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন।

আদালতে তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, রুহুল কুদ্দুস কাজল।

মামলার বিচারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন দেখানো রুলের ওপর শুনানি শেষে গত বছরের ২৩ অক্টোবর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা চারটি চাঁদাবাজির মামলা বাতিল করেন হাইকোর্ট।

২০০৮ সালে বাংলাদেশে থাকাকালে তারেক রহমানের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

বিএনপি নেতার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ এর আগে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, এক কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৮ মার্চ গুলশান থানায় আজম আহমেদ নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে চারটি মামলার একটি করেন।

একই বছরের ২৭ মার্চ একই থানায় এক কোটি ৩২ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন রেজা কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব উদ্দিন।

এ ঘটনায় ২০০৭ সালের ১ এপ্রিল মীর জহির হোসেন নামে এক ব্যক্তি ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।

একটি ব্যবসায়িক প্রকল্পের আয় থেকে লভ্যাংশ দাবির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৪ মে গুলশান থানায় আরেকটি মামলা করা হয়।

চারটি মামলা বাতিলের মধ্য দিয়ে তারেকের বিরুদ্ধে এখন মোট ২২টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। চারটি মামলায় তিনি বিভিন্ন আদালতে দণ্ডিত হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড পেয়েছেন।

রুলের ওপর শুনানিতে তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আদালতকে বলেন, তাদের মক্কেলকে রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে।

তার বিরুদ্ধে মামলাগুলোর বিচার চলতে পারে না বলে যুক্তি দেন আইনজীবীরা।

তারেক রহমান বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন।

Comments

The Daily Star  | English

11 years of N’ganj 7-murder: Hope fading as families still await justice

With the case still pending with Appellate Division, the victims' families continue to wait for the execution of the culprits' punishment

52m ago