চৌগাছা থানার বাংলোতে টর্চারসেল, ওসি বরখাস্ত

বরখাস্ত ওসি পায়েল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নিজ বাংলোতে টর্চারসেল পরিচালনা, ঘুষ, রিমান্ড বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও নিরীহ মানুষকে হয়রানির অভিযোগে যশোরের চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পায়েল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার এ ধরনের একটি আদেশ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আসে। এরপর তাকে খুলনা রেঞ্জ থেকে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ওসি পায়েলের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এজন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি কাজ শুরু করেছে। তার বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছে কমিটি। 

নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে পায়েল বিভিন্ন দপ্তরে ধর্না দিয়েছিলেন, তবে তার সেসব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

গত বছরের ১৭ নভেম্বর ঢাকার রমনা থানা থেকে বদলি হয়ে চৌগাছা থানার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ওসি পায়েল। দেড় মাসের ব্যবধানে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগে ফুসে ওঠেন স্থানীয়রা।

তার বিরুদ্ধে থানার প্রাচীরের মধ্যে নিজ বাংলোতে টর্চারসেল পরিচালনা, ঘুষ, রিমান্ড বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও নিরীহ মানুষকে হয়রানিসহ নানা  অভিযোগ ওঠে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ওসি পায়েলের অপকর্মের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে পুলিশ। জেলা পুলিশ তাকে ক্লোজড করে যশোর পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এ বিষয়ে যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওসি পায়েলের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির কার্যক্রম চলমান। তার বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছে কমিটি।'

তিনি বলেন, 'পায়েলকে সাময়িক বরখাস্তের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে সুপারিশ করা হলে তা মঞ্জুর হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধ অভিযোগের সত্যতা মিললে বিভাগীয় মামলা করা হবে এবং চাকরি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Economist Barkat held in graft case

Economist Prof Abul Barkat was arrested in the capital last night in a case filed with the Anti-Corruption Commission.

5h ago