ছাগলকাণ্ড: মতিউর ৩ দিনের রিমান্ডে, স্ত্রী কারাগারে

ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসা সাবেক জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমানকে তিনদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

একইসঙ্গে তার স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ বুধবার গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতে হাজির করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আখতার এই আদেশ দেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের মামলায় লায়লার সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ১৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

নিজেকে নির্দোষ দাবি করে মতিউর আদালতকে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন অজুহাতে তাকে অনেক হয়রানি করেছে। তা ছাড়া, যে মামলা করা হয়েছে, সেটি তার লাইসেন্স করা অস্ত্র।

এ সময় তিনি রিমান্ড নামঞ্জুর করে জামিনের আবেদন করেন।

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা এদিন তাদের গ্রেপ্তার করে। তাদের বাসা থেকে একটি শটগান, ২৪ রাউন্ড গুলি ও তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

অন্যদিকে লায়লাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

লায়লার বিরুদ্ধে ১৩ কোটি এক লাখ ৫৮ হাজার ১০৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং এক কোটি ৫৩ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে গত ১২ জানুয়ারি মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন।

এ ছাড়া, মতিউর রহমান, লায়লার ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান, মেয়ে ফারজানা রহমান ঈপ্সিত এবং মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আক্তার শিউলীর বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা হয়েছে।

মতিউরের ছেলে মুশফিকুর রহমান ওরফে ইফাত ১৫ লাখ টাকা দামের একটি কোরবানির ছাগল ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করার পর বিতর্ক শুরু হয়। ছবিটি ভাইরাল হলে মতিউরের সম্পদের উৎস নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

এরপর থেকে মতিউরের ছেলের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, বিলাসবহুল জীবনযাপন এবং মতিউর ও পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

পরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে।

Comments

The Daily Star  | English

Technical education hit by teacher shortage, falling enrolment

Bangladesh’s technical education sector is facing a slow-burning crisis, shaped by a severe shortage of teachers, poor infrastructure, and steadily declining student interest.

11h ago