পুলিশের হিসাবেও দেশে অপরাধ বেড়েছে

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশ জুড়ে খুন, অপহরণ, চুরি ও ডাকাতি মতো অপরাধের ঘটনা গত পাঁচ বছরের একই মাসের তুলনায় বেড়েছে। এ ধরনের অভিযোগে থানায় হওয়া মামলার সংখ্যা থেকে এই চিত্র উঠে এসেছে।
যদিও, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার 'আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক' বক্তব্যের সঙ্গে এই তথ্য সম্পূর্ণ বিপরীত।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিভিন্ন থানায় অন্তত ২৯৪টি হত্যা মামলা হয়েছে, যা গত বছরের একই মাসে ছিল ২৩১টি। এর আগের চার বছরের একই মাসে এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২১৪, ২৬৪, ২৫৭ ও ২৭৩টি।
চলতি বছরের প্রথম মাসে ডাকাতির মামলা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭১টিতে, যা গত বছরের জানুয়ারিতে ছিল ১১৪টি। অপহরণের মামলাও চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিগুণ বেড়েছে।
গত ছয় বছরের মাসিক অপরাধের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। এই দুই অভিযোগে একমাসে মোট মামলা হয়েছে ২৪২টি।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরেও আগের পাঁচ বছরের একই মাসের তুলনায় ছিনতাই, ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনা বেড়েছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষ্যে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে 'অপারেশন ডেভিল হান্ট' শুরু হলেও অপরাধের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত আছে।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ওমর ফারুক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত ছয় মাসে ছিনতাই, ডাকাতি ও চুরির মতো অপরাধ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, 'এই অপরাধগুলো বেড়ে যাওয়া কি আইনশৃঙ্খলা সন্তোষজনক থাকার লক্ষণ?'
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকার দাবির সমালোচনা করে তিনি বলেন, মানুষ খুন, চুরি, ছিনতাইয়ের ভয়ের মধ্যে বসবাস করছে। সরকারকে এ ব্যাপারে উদাসীন মনে হচ্ছে কারণ তারা এই সমস্যা সমাধানের উপায় জানে না।
ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, 'অপরাধের হার জনসংখ্যার ওপর নির্ভর করে। অপরাধের হার বাড়ছে নাকি কমছে, তা জরুরি বিষয় নয়, তবে যখন হাই-ইমপ্যাক্ট অপরাধ নেড়ে যায় তখন জনগণের মধ্যে ভয়ের অনুভূতি তৈরি হয়। সরকার কি এটা বোঝে না?'
সংক্ষেপিত, বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে
Comments