মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এ টি এম আজহারুলকে আপিলের অনুমতি, শুনানি ২২ এপ্রিল

সুপ্রিম কোর্ট

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই আপিল শুনানির জন্য ২২ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ আজহারুল ইসলামের করা রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের রিভিউয়ের জন্য এই আবেদন করা হয়েছিল।

শুনানিতে এ টি এম আজহারুলের পক্ষে ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক, আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও মোহাম্মদ শিশির মনির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।

২০২০ সালের ১৯ জুলাই আজহারুল ইসলাম তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন (প্রয়াত) ও মোহাম্মদ শিশির মনিরের মাধ্যমে ২৩ পৃষ্ঠার একটি রিভিউ আবেদন দাখিল করেন, যেখানে ১৪টি যুক্তির ভিত্তিতে আপিল বিভাগের রায়ের পুনর্বিবেচনা চাওয়া হয়।

আইনজীবী শিশির মনির এর আগে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, সাক্ষীদের বক্তব্য আজহারুলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে পুরোপুরি সমর্থন করে না।

২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ এ টি এম আজহারুলের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে এই রায় দেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজহারুলকে ১৯৭১ সালে রংপুরে সংঘটিত অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার প্রায় পাঁচ বছর পর এই রায় আসে।

আপিল বিভাগ আজহারুলের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ বহাল রাখে এবং একটি অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়। ২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় আজহারুল ইসলাম রংপুর অঞ্চলে কুখ্যাত আল-বদর বাহিনীর কমান্ডার এবং জামায়াতের তৎকালীন ছাত্র সংগঠন ছাত্র সংঘের সভাপতি ছিলেন বলে অভিযোগ আছে।

১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে আপিল বিভাগের রায়ের পর জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আবদুল কাদের মোল্লা, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মীর কাসেম আলী এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Govt publishes gazette of 1,558 injured July fighters

Of them, 210 have been enlisted in the critically injured "B" category, while the rest fall under the "C" category of injured fighters

5h ago