খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ও তার স্ত্রী-সন্তানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ও তার স্ত্রী-সন্তানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
এনায়েত উল্লাহ, তার স্ত্রী নার্গিস সামসাদ এবং তাদের ছেলে রিদওয়ানুল আশিক নিলয় ও মেয়ে চশমে জাহান নিশির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের মামলা বিচারাধীন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।
এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছেন খোরশেদ আলম।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন কৌঁসুলি রুহুল ইসলাম খান।
আবেদনপত্রে খোরশেদ উল্লেখ করেন, এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রুটে চলা বাস থেকে প্রতিদিন এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
পাশাপাশি তিনি অবৈধভাবে বিপুল সংখ্যক অর্থ আয় করেছেন এবং সেসব অর্থে নিজ এলাকায় তার নিজের ও স্ত্রী-সন্তানের নামে কৃষি জমি, ফ্ল্যাট ও প্লট কিনেছেন।
'বিশ্বস্ত সূত্রে দুদক জানতে পেরেছে, গ্রেপ্তার এড়াতে তারা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। যে কারণে তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন,' উল্লেখ করেন খোরশেদ।
গত ১৪ জানুয়ারি এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে ওঠা প্রায় দেড় কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পরিবহন খাতে প্রভাব বিস্তার করেন এনায়েত উল্লাহ। তার বিরুদ্ধে নানা অজুহাতে এই খাত থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে।
দীর্ঘ দিন ধরে পরিবহন খাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্যের অভিযোগ করে আসছিলেন।
Comments