মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদে পুলিশে চাকরি, ১৩ বছর পর গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধার নাতি হওয়ার মিথ্যা পরিচয়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দীর্ঘ ১৩ বছর পর তদন্তে প্রতারণার বিষয়টি উদঘাটিত হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার রাতে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে দেশে ফেরার পথে আখাউড়া স্থলবন্দরে গ্রেপ্তারের পর শনিবার বিকেলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন জানান, আখাউড়া উপজেলার মোগড়া গ্রামের বাসিন্দা নান্নু মিয়ার ছেলে মো. সুমন ২০১২ সালে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পরীক্ষায় অংশ নেন। মুক্তিযোদ্ধার নাতি কোটায় চাকরি পেতে তিনি তার প্রতিবেশী মো. হোসেন মিয়ার মুক্তিযোদ্ধা সনদ দাখিল করেন। প্রকৃতপক্ষে হোসেন মিয়া তার দাদা নন।
কুমিল্লার বুড়িচং থানায় কর্মরত কনস্টেবল সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলাকালেই গত বছরের ১ ডিসেম্বর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে তিনি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। ২১ ডিসেম্বর প্রতারণার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর স্থানীয় যুবক মো. ফরহাদ মিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে প্রতারণার বিষয়টি উঠে আসে। অভিযোগের ভিত্তিতে তৎকালীন কসবা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি তদন্ত করেন। সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
তার প্রতারণার বিষয়ে দ্য ডেইল স্টার বাংলায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
Comments