শেরপুরে সরকারি ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘চাঁদাবাজির’ মামলা

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ২০২৩ সালে চাঁদাবাজির অভিযোগে সরকারি তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
মোহাম্মদ গোলাপ হোসেন নামে এক ব্যক্তির দায়ের করা মামলাটি আমলে নিয়ে সোমবার আদালত জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন—জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদ রানা, শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিসুর রহমান।
তাদের ভাষ্য, অবৈধভাবে উত্তোলন করা সাত কোটি টাকা মূল্যের বালু জব্দ করার পর এই মামলা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা এবং অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের প্রতিশোধমূলক উদ্যোগ।
এজাহালে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১৩ জুন মাসে নিলাম থেকে ২৫ হাজার ঘনফুট বালু কেনেন গোলাপ। এরপর তিনি সরকারি কোষাগারে অর্থ জমা দেন। অথচ নালিতাবাড়ীর তৎকালীন ইউএনও মাসুদ রানা তাকে বালু বুঝিয়ে দিতে ছয় লাখ টাকা দাবি এবং বালু বুঝিয়ে দিতে দেরি করেন।
জানতে চাইলে মাসুদ রানা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাদী যে বালু কেনার কথা বলছেন, সেই বালু তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সংক্রান্ত সরকারি ডকুমেন্টও সংরক্ষিত আছে।'
তিনি আরও বলেন, 'বিভিন্ন সময় বালু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অভিযান পরিচালনা করেছি। এ কারণেই একটি প্রভাবশালী মহল আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিহিংসার পথে হাঁটছে।'
এই মামলার প্রসঙ্গে ফারজানা আক্তার ও আনিসুর রহমানও জানিয়েছেন, বাদীকে বালু বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
'এ ধরনের মামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত,' বলেন তারা।
এত দিন পরে কেন মামলা জানতে চাইলে গোলাপ হোসেন জবাব দিতে রাজি হননি। তিনি বলেন, 'মামলার নথিতে সব আছে।'
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহিদুল হক আধার বলেন, 'আমার মক্কেলকে পরিকল্পিতভাবে হয়রানি করা হয়েছে। আদালতের কাছে আমরা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।'
Comments