জবির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনোয়ারা বেগম হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দায়ের হত্যাচেষ্টা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বুধবার দিবাগত রাতে সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এদিন বিকেলে ক্যাম্পাসের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
'যেহেতু তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, এখন পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে,' বলেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, 'তিনি যে ক্যাম্পাসে আসবেন আমরা অবগত ছিলাম না। তার বিরুদ্ধে মামলার বিষয়েও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবহিত নয়। শুনেছি পুলিশ উনাকে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে গ্রেপ্তার করেছে।'
মামলার বাদী সুজন মোল্লা বলেন, 'এদের মতো দলকানা শিক্ষকদের জন্য স্বৈরাচারী আমলে শিক্ষক সমাজ কলঙ্কিত হয়েছে। উনি বলতেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যারা কাজ করে, তারা রাজাকার। আর যেহেতু ছাত্রদল-শিবির আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাই এরা রাজাকার। এদের গুলি করে মারা উচিৎ।'
'তিনি পিএসসির সদস্য থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগ ছাড়া কাউকে বিসিএসের জন্য উত্তীর্ণ করতেন না। উনার মতো আওয়ামী দোসরের সঠিক বিচার দাবি করছি। কারণ উনারা ছাত্রলীগের মাফিয়াদের পুলিশ প্রশাসনে নিযুক্ত করেছেন এবং ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগকে টাকা দিয়ে ছাত্রদলসহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন করিয়েছেন,' অভিযোগ সুজনের।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সুজন মোল্লার চোখে গুলি লাগে। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের ৯৪ জনসহ মোট ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে তিনি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের বাকি উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক তথ্যমন্ত্রী আরাফাত রহমান ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
Comments