‘আমি শিক্ষক মানুষ...আমার কিছু বলার নেই’ আদালত প্রাঙ্গণে আবুল বারকাত

পোশাক কারখানা অ্যাননটেক্সকে অর্থ আত্মসাতে সহায়তার অভিযোগের মামলায় অর্থনীতিবিদ ও রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল বারকাতকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারের পর আজ শুক্রবার বিকেলে আবুল বারকাতকে আদালতে হাজির করা হয়।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটের দিকে তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনার পর হাজতে নেওয়া হয়। পরে তাকে আদালত কক্ষে হাজির করা হয়।
শুনানি শেষে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বিচারক মো. জুয়েল রানা আবুল বারকাতকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর অধ্যাপক আবুল বারকাতকে আবার হাজতে নেওয়া হয়। এসময় তাকে সাংবাদিকরা ঘিরে ধরেন।
মামলার বিষয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে আবুল বারকাত বলেন, আমি শিক্ষক মানুষ। আপনারা ভালো থাকুন। আমার কিছু বলার নেই।'
এরপর তিনি আবার হাঁটতে থাকেন। তাকে আবার প্রশ্ন করা হলে তিনি আবার বলেন, 'আমার কিছু বলার নেই।'
অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ডিবি পুলিশ রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে দুদকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মামলায় যা আছে
চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি পোশাক কারখানা অ্যাননটেক্স গ্রুপের বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে দুদক একটি মামলা করে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অধ্যাপক বারকাত জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় অ্যাননটেক্স গ্রুপকে অবৈধ সুবিধা দিয়ে ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করতে সহায়তা করেছেন।
এ মামলায় মোট ২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার ১৩ নম্বর আসামি অধ্যাপক আবুল বারকাত। আসামিদের মধ্যে জনতা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানও আছেন।
দুদকের উপপরিচালক মো. নাজমুল হুসাইনের করা মামলায় বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা, জালিয়াতি, মিথ্যা রেকর্ড তৈরি করে অপরাধ, অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ব্যাংকের মর্টগেজ নেওয়া জমিতে বাস্তবে কোনো ভবন, স্থাপনা, কারখানা না থাকা সত্ত্বেও ঋণগ্রহীতা অ্যাননটেক্স মালিক হওয়ার আগেই ওই জমিতে স্থাপনা দেখিয়ে মূল্যায়ন করে এবং স্থাপনাবিহীন ৩ কোটি ৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকায় কেনা জমিকে অতি মূল্যায়ন করে প্রায় ১৬ হাজার ৪৮২ লাখ টাকা দেখিয়ে অন্যায়ভাবে ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা ঋণ অনুমোদন করেছে।
Comments