ফ্লাইট এক্সপার্ট জালিয়াতি: মামলার পর ৩ কর্মী গ্রেপ্তার

অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পলাতক থাকার খবরে গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় সংস্থাটির তিন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তার তিনজন হলেন— এজেন্সির হেড অব ফাইনান্স সাকিব হোসেন (৩২), চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাঈদ আহমেদ (৪০) ও চিফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম সাদাত হোসেন (৩২)।
ওসি বলেন, বিপুল সরকার নামে এক গ্রাহক গতরাতে মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন। এতে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে—গ্রেপ্তার হওয়া তিন কর্মীসহ ফ্লাইট এক্সপার্টের এমডি সালমান বিন রাশিদ শাহ সাঈম ও তার বাবা এম এ রাশিদ।
তিনি আরও জানান, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
এর আগে, এমডি সালমান পলাতক হওয়ার পর ফ্লাইট এক্সপার্টের পক্ষ থেকে সাঈদ আহমেদ থানায় একটি জেনারেল ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডিতে সাঈদ অভিযোগ করেন, এমডি সালমান সংস্থার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছেন যে তিনি দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। অফিসে গিয়ে তিনি সালমানকে অনুপস্থিত দেখেন।
জিডিতে তিনি লেখেন, 'গ্রাহকদের অর্থ সংক্রান্ত লেনদেন এখন ঝুঁকিতে এবং কিছু গ্রাহক কর্মীদের হুমকি দিচ্ছেন।'
গতকাল ফ্লাইট এক্সপার্টের ওয়েবসাইট অচল দেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। অনেক গ্রাহক তাদের বুকিং ও ভবিষ্যৎ ভ্রমণ পরিকল্পনা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
Comments