তৌহিদ আফ্রিদি ৫ দিনের রিমান্ডে

কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি। ছবি: সংগৃহীত
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে আশাদুল হক বাবু (৩০) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আলাদাত।

আদালতে কর্মরত এক উপ-পরিদর্শক দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, পুলিশের সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারা ফারজানা হক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আজ দুপুর ৩টা ২৬ মিনিটে তৌহিদ আফ্রিদিকে আদালত কক্ষে নেওয়া হয়।

রিমান্ড শুনানি চলাকালে কোনো কথা বলেননি তৌহিদ আফ্রিদি। তাকে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শুনতে দেখা যায়।

দুপুর ৩টা ৪০ মিনিটে ম্যাজিস্ট্রেট তার রিমান্ড আদেশ দেন।

এর আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল গতকাল বরিশালে চাচার বাড়ি থেকে তৌহিদকে গ্রেপ্তার করে।

গত ১৭ আগস্ট একই মামলায় তৌহিদের বাবা ও মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীকে ঢাকার গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

১৮ আগস্ট পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় সাথীকে।

গত বছরের ২৭ আগস্ট নিহত বাবুর বাবা জয়নাল আবেদীন আদালতে হাসিনাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাটি করেন।

পরে ওই বছরের ৩০ আগস্ট আদালতের নির্দেশে যাত্রাবাড়ী থানা মামলাটি এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করে।

তৌহিদ আফ্রিদির বিরুদ্ধে অভিযোগ

পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, তদন্তকালে জানা যায় যে, ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুপরিচিত কনটেন্ট নির্মাতা এবং মাইটিভির পরিচালক তৌহিদ আফ্রিদি তার প্রভাব ব্যবহার করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে পতিত সরকারের পক্ষে অবস্থান নেন।

পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ২৪ জুলাই স্বৈরাচারী শাসনের পক্ষ নিয়ে তিনি সেলিব্রিটি ও অন্যান্য কনটেন্ট নির্মাতাদের আন্দোলন বন্ধের আহ্বান জানাতে উস্কে দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। যারা দ্বিমত পোষণ করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনও করেছিলেন তৌহিদ।

এতে বলা হয়, তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য সম্প্রচারে লাইভে এসেছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের দাবিকে অবমূল্যায়ন করেছিলেন এবং আন্দোলন বিরোধী শক্তিকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়েছিলেন।

এতে আরও বলা হয়, তার উস্কানিমূলক কার্যক্রম স্থানীয় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত জঙ্গি, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের নির্বিচারে গুলি চালাতে অনুপ্রাণিত করেছিল। এর ফলে ভুক্তভোগীর মৃত্যু হয়েছিল।

Comments

The Daily Star  | English
rohingya-migration

Myanmar solely responsible for creating favourable conditions for Rohingyas’ return: UN

11 Western countries stress lasting solution hinges on peace and stability in Myanmar

23m ago