রাজবাড়ীতে কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে দিলো উত্তেজিত জনতা, সংঘর্ষে নিহত ১

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলা নামে এক ব্যক্তির মরদেহ কবর থেকে তুলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড় এলাকায় নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এসময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও এক সাংবাদিকসহ অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি ও পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
এই ঘটনাকে 'অমানবিক ও ঘৃণ্য' উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'এই জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হবে এবং আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা হবে।'
গোয়ালন্দের ইউএনও মো. নাহিদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুপুরে ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির ব্যানারে নুরুল হকের মাজারে হামলা করা হয়। এরপর তার লাশ কবর থেকে তুলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড় এলাকায় নিয়ে পুড়িয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।'

সংঘর্ষে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাসেল মোল্লা (২৮) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন।
গোয়ালন্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, রাসেল উপজেলার দেবগ্রামের বাসিন্দা আজাদ মোল্লার ছেলে।
এর আগে, আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ আনসার ক্লাব মাঠে বিক্ষোভ মিছিল শেষে উত্তেজিত জনতা নুরুল হকের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা ইউএনও ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব জানান, সমাবেশ শেষে বিক্ষোভকারীরা গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোনাপাড়া এলাকায় নুরুল হকের বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে ডুকে হামলা চালায়, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে।

পরে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, বর্তমানে অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
Comments