সরিষাবাড়ীতে আ. লীগ-স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা-পাল্টা হামলা, গ্রেপ্তার ১
জামালপুর-৪ সরিষাবাড়ী আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ হাসানের কর্মীদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষে অন্তত ৪ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার রাতে পৌরসভার শিমলাপল্লী তাড়িয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডাক্তার মুরাদ হাসানের ৪-৫ জন কর্মী পৌরসভার শিমলাপল্লী তাড়িয়াপাড়ায় নৌকার প্রচারণা অফিসে হামলা চালায়। সেসময় তারা চেয়ার ভাঙচুর ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। হামলায় আহত হয় নৌকার প্রার্থীর দুই কর্মী—মান্নান ও শাকিল।
পরে খবর পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ হাসানের প্রচারণা অফিসে পাল্টা হামলা চালায় নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমানের কর্মীরা। তারা সেখানে চেয়ার ভাঙচুর করে। সেসময় হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর দুই কর্মী—কপিল ও রুবেল আহত হন।
হামলা-পাল্টা হামলায় ঘটনায় এ পর্যন্ত একটি মামলা হয়েছে। মামলা করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ হাসানের ব্যক্তিগত সহকারী সাখাওয়াত আলম মুকুল। মামলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর ২৫ কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
যোগাযোগ করা হলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহবুবুর রহমান হেলাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মুরাদ হাসানের ব্যক্তিগত সহকারী মুকুলের নেতৃত্বে আমার নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে।'
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুরাদ হাসানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
মুরাদ হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী সাখাওয়াত আলম মুকুল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের কেউ নৌকার প্রচারণা অফিসে হামলা করেনি। নৌকার প্রার্থীর লোকজন আমাদের নির্বাচনী প্রচারণা অফিসে হামলা করেছে, চেয়ার ভাঙচুর করেছে।'
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মুশফিকুর রহমান বলেন, 'খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।'
এদিকে এ ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে মুরাদ হাসানের ব্যক্তিগত সহকারী সাখায়াত আলম মুকুল প্রথম আলোর সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি শফিকুল ইসলামকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম।
Comments