চাঁদপুর-২

নৌকার কর্মীদের মারধর মামলার আসামি পত্রিকার সম্পাদকের দাবি ‘ঘটনাস্থলেই ছিলেন না’

চাঁদপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মীদের মারধরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দৈনিক সংবাদ সারাবেলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী জাফরসহ ২৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মতলব উত্তর থানা। ছবি: স্টার

চাঁদপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মীদের মারধরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দৈনিক সংবাদ সারাবেলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী জাফরসহ ২৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।

তবে কাজী জাফর দ্য ডেইলি স্টারের কাছে দাবি করেছেন, ঘটনার দিন তিনি চাঁদপুরেই ছিলেন না।

মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ নিয়ে গঠিত চাঁদপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় মতলব উত্তর উপজেলার সুগন্ধী এলাকায় নৌকার কর্মীরা পোস্টার লাগাতে গেলে মো. আনিছুর রহমান নামে একজনের নির্দেশে সংঘবদ্ধ আসামিরা নৌকার কর্মীদের মারধর করে। এসময় তাদের সঙ্গে থাকা নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নিয়ে যায় আসামিরা।

অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামিরা ঘটনার সময় একেরপর এক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তারা নৌকার সমর্থকদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আসামিদের হামলায় নৌকার কর্মী মো. রুবেল (৩৫) ও মো. শাকিল দেওয়ান (৩৬) আহত হয়েছেন।

এই মামলার আসামি কাজী জাফর ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরে হলেও আমি বর্তমানে ঢাকায় থাকি। যে ঘটনায় আমার নামে মামলা দেওয়া হয়েছে সেই ঘটনার সময় আমি চাঁদপুরেই ছিলাম না, ঢাকায় ছিলাম।'

তিনি আরও বলেন, 'মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার নির্দেশে আমাকে এই মামলার আসামি করা হয়েছে। প্রকৃত তদন্তেই আমার কথার সত্যতা প্রমাণ হবে।'

কাজী জাফরের নাম মামলায় কীভাবে এলো—জানতে চাইলে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) মো. খায়রুল কবির বলেন, 'এ বিষয়ে থানার ওসির সঙ্গে কথা বলেন।'

মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার স্থলে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ছানোয়ার হোসেন।

ছানোয়ার হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনাস্থল থেকে ককটেলের অংশবিশেষ পাওয়া গেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো পত্রিকার সম্পাদকের নামে মামলা হয়েছে, বিষয়টি আমরা জানি না। মামলায় আসামিদের নাম ও তাদের পিতার নাম দেওয়া হয়।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা যেহেতু বিষয়টি জানতে পেরেছি, তদন্ত শেষে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই সাংবাদিকের নাম বাদ দেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Unrest emerges as a new threat to RMG recovery

The number of apparel work orders received by Bangladeshi companies from international retailers and brands for the autumn and winter seasons of 2025 dropped by nearly 10 percent compared to the past due to major shocks from the nationwide student movement and labour unrest in major industrial belts over the past two and half months.

10h ago