নৌকার পক্ষে প্রচারে না যাওয়ায় সরকারি কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ
লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে রাজি না হওয়ায় এক সরকারি কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
তার নাম শরিফুল ইসলাম (৩৫)। তিনি কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদে অফিস সহকারী পদে কর্মরত।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার কালীবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় শরিফুলকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে দুজনের নাম উল্লেখ করে ৬-৭জনের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছেন শরিফুল ইসলাম।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ কবীর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। এ বিষয়ে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শরিফুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের দিকে আসতেছিলাম। এই সময় ৬-৭ জন লোক আমার পথ আটকান। তাদের মধ্যে আমি দুজনকে চিনি। তারা আমাকে নৌকা প্রতিকের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে বলেন। আমি সরকারি চাকরি করি তাই তাদেরকে না বলে দেই। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে বাঁশ ও কাঠের লাঠি দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করতে থাকেন।
'স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারকে জানিয়েছি, থানায় অভিযোগ করেছি,' বলেন তিনি।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত নৌকা প্রতিকের সমর্থক ও কর্মী ফজলুল হক (৪৫) দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, উপজেলা পরিষদের কর্মচারী শরিফুলের সাথে তার আর্থিক লেনদেন রয়েছে। লেনদেনের টাকাকে কেন্দ্র করে তার সাথে বাকবিতণ্ডা হয়েছে বলে জানান তিনি।
'আমরা তাকে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে বলিনি। তাকে আমরা মারধরও করিনি,' দাবি করেন তিনি।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহির ইমাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। আইনী ব্যবস্থা নিতে বৃহস্পতিবার রাতেই লিখিতভাবে কালীগঞ্জ থানা ওসিকে নির্দেশ দিয়েছি।
উল্লেখ্য, লালমনিরহাট-২ আসনে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
Comments