ব্যালট ছিনতাই ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে মারধর: নরসিংদীর আরও ২ কেন্দ্রের ভোট বাতিল
নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনে ব্যালট পেপার ছিনতাই ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে মারধরসহ অনিয়মের অভিযোগে দুটি কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হয়েছে।
এ দুটি কেন্দ্রে ১ হাজার ৫০০ এর বেশি জাল ভোট দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ দুপুর ১টার দিকে কেন্দ্র দুটিতে ভোট বাতিল করা হয় বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা বদিউল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।
কেন্দ্রগুলো হল শিবপুর উপজেলার দুলালপুর ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা ও ভিটিচিনাদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ ঘটনায় ৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে মারধর, ব্যালট পেপার ছিনতাই করে জোর করে নৌকার প্রার্থী ফজলে রাব্বি খান ও তার লোকজন সিল মারা শুরু করেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রেজাউল হাসান বাধা দেওয়ায় তাকে মারধর করা হয়। এ সময় ৫-৬টি হাত বোমা বিস্ফোরিত হয়। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের ঘটনাস্থলে বাধা দিলে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরে রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. বদিউল আলম ও জেলা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে যান এবং কেন্দ্রের ভোট বাতিল ঘোষণা করেন।
তবে নৌকার প্রার্থী ফজলে রাব্বি খান অনিয়মের কথা অস্বীকার করে বলেন, 'আমার গাড়িতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন হামলা করেছে। আমরা এ ঘটনায় জড়িত নই।'
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ সজীব বলেন, 'প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে মারধর, ব্যালট পেপার ছিনতাই করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও নৌকার লোকজন। তাই এ দুটি কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।'
রিটার্নিং কর্মকর্তা বদিউল আলম বলেন, 'দুটি কেন্দ্রে জোরপূর্বক ভোট মারা, প্রিসাইডিং অফিসারকে মারধরসহ নানা অনিয়মের দায়ে ভোট বাতিল করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী ও নৌকার প্রার্থীর লোকজন উভয়েই অনিয়মে জড়িয়ে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
এর আগে অনিয়মের অভিযোগে নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসনের একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বাতিল করা হয় আজ।
Comments