ভোটার উপস্থিতি কম, কেন্দ্রের পাশে আ. লীগ নেতার ভোজের আয়োজন
শরীয়তপুর-১ আসনে ভোট কেন্দ্রের পাশে ভুরিভোজের আয়োজন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শামসুল হক খান।
সরেজমিনে দুপুর ১টার দিকে জাজিরা উপজেলার ৩নং আক্কেল মাহমুদ মুন্সি কান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে খাবারের আয়োজন দেখা গেছে। নারী ও পুরুষ ভোটাররা সন্তানদের নিয়ে এখানে খেতে এসেছেন।
বাবুর্চি মো. শাহ আলম বলেন, 'নৌকার নির্বাচনে সবাই জানি খাওয়া দাওয়া কইরা ভোট ঠিকঠাক মতো ভোট দিতে পারে, হেইজন্য পাক-সাক কইরা সবাইরে খাওয়াইতাছে।'
জানা গেছে, ভাত-খিচুড়িসহ কমপক্ষে চার হাজার মানুষের খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।
জানতে চাইলে জাজিরা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, 'ভোটকেন্দ্রের ৪০০ গজের মধ্যে কেউ কোনো খাবার বা ভূড়িভোজের আয়োজন করতে পারবেন না। তবে ৪০০ গজের এর বাইরে গিয়ে কারো বাড়িতে যদি এই আয়োজন হয় তাহলে তো আর আমাদের কিছু করার নেই।'
'৪০০ গজের মধ্যে কেউ এই ধরনের আয়োজন করলে সেটা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। জাজিরার নাওডোবা এলাকায় ভূড়িভোজের এমন একটি আয়োজনের কথা শুনেছি। তাৎক্ষণিকভাবেই সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।'
শরীয়তপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন অপু। এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীকে এ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান, খেলাফত আন্দোলনের বটগাছ নিয়ে মুফতি আব্দুস সামাদ কাসেমী, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত সোনালী আঁশ (পাট) নিয়ে আবুল বাসার মাদবর এবং ঈগল পাখি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা হাওলাদার প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
এদিকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শরীয়তপুর-২ আসনের (নড়িয়া-সখিপুর) নড়িয়া উপজেলার পাঁচটি এবং শরীয়তপুর-১ আসনের (পালং-জাজিরা) জাজিরা উপজেলার দুটি ভোট কেন্দ্রে ঘুরে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেছে।
কোনো কোনো কেন্দ্রে সাত থেকে আটটি করে ভোটারদের লাইন থাকলেও তাদের অধিকাংশই ভোটার নন।
সর্বশেষ দুপুর সাড়ে ৩টায় নড়িয়ার ৩৯নং ভড্ডা কান্দা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে কোনো ভোটারকে দেখা যায়নি। প্রিজাইডিং অফিসার মো. মাহমুদুল ইসলাম জানান, সাড়ে ৩টা পর্যন্ত প্রায় ৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২৪৭৩, এর মধ্যে মোট ১১০০টি ভোট পড়েছে।
Comments