গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন: চলছে গণনা

শেষ পর্যন্ত কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়া শেষ হয়েছে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮ থেকে শুরু হয়ে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ১৪৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বিকেল সাড়ে ৪টায়।
সকালে এবং বিকেলে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের সংখ্যা ছিল একেবারেই কম। দুপুরে কিছু কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা বাড়লেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। তবে এই সময়ে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে ইভিএমে ভোট গ্রহণে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে।
গত ১২ অক্টোবর এই আসনের উপনির্বাচন ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। আজ সেই ভোট আবার অনুষ্ঠিত হলো।
সাঘাটা এবং ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেতে দেখা যায়। তবে কিছু কিছু কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা অন্য প্রার্থীর ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাঘাটার কাজী আজহার আলী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের উপজেলা গেটে দেখা যায় ১০-১২ জন মানুষ ভোটারদের প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে আছেন। কোনো ভোটার আসামাত্র তারা জিজ্ঞাসা করছেন ভোট নৌকায় দেবেন কিনা। একই চিত্র দেখা যায় ফুলছড়ির নাপিতের পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে।
এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম শহীদ রঞ্জু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভোটকেন্দ্রের ভেতরের পরিবেশ সুষ্ঠু ছিল। কিন্তু সকালে সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজন আমার লোকজনদের ভয়-ভীতি দেখায়। এ জন্য তারা ভোটকেন্দ্রে আসেননি। এই কারণে প্রায় সব কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল।
বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঝামেলা ছাড়াই ভোট শেষ হয়েছে। ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত বলা যাবে না যে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। তিনিও ভোটার উপস্থিতি কম থাকার কথা জানান।
বিকেল ৪টায় সাঘাটার কাজী আজহার আলী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরুষ কেন্দ্রে গিয়ে কোনো ভোটার পাওয়া যায়নি। প্রিজাইডিং অফিসার রফিকুজ্জামান জানান, এখানে পৌনে ৪টা পর্যন্ত ৩ হাজার ২১৬ ভোটের মধ্যে ১ হাজার ২৪০টি ভোট পড়েছে।
দুপুর সাড়ে ১২টায় সাঘাটার কচুয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং কচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ৩ হাজার ১৮২ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছিলেন ৬০০ জন বলে জানান কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার খায়রুজ্জামান মণ্ডল।
তবে এই সময়ে মহিলা কেন্দ্রে (প্রাথমিক বিদ্যালয়ে) নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
এই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
Comments