কুলাউড়া উপজেলা নির্বাচন

আলোচনা-সমালোচনায় উপজেলা আ. লীগ সভাপতি

ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বাকি ১২ দিন। বরাদ্দকৃত প্রতীক নিয়ে চলছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। এর পাশাপাশি চলছে অভিযোগের পর্বও।

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের তিন নেতা। তারা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, সহ-সভাপতি কামাল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আ স ম কামরুল ইসলাম।

তাদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম রেনু আনারস, কামাল হাসান মোটরসাইকেল ও কামরুল ইসলাম কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। এ ছাড়া, আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল হক খান সাহেদ প্রার্থী হয়েছেন দোয়াত-কলম প্রতীকে।

সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করে রফিকুল ইসলাম রেনুর বিরুদ্ধে হলফনামায় শিক্ষা ও সম্পদের মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কামরুল ইসলাম।

তার দাবি, হলফনামায় নিজেকে এসএসসি পাস দাবি করলেও রফিকুল ইসলাম রেনু এসএসসি পাস করেননি এবং সম্পদ বিবরণীতে ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাট ও কুলাউড়ায় তিনটি প্লটের তথ্য গোপন করেছেন।

এমনকি নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে এসব বিষয়ে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন কামরুল ইসলাম।

সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বাস্তবিক অর্থে রফিকুল ইসলাম রেনু ফুলতলা বশির উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন না।

কামরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, 'বশির উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৬৭। তাহলে কীভাবে ১৯৭০ সালে রেনু ওই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন?'

লিখিত অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, রফিকুল ইসলাম রেনুর হলফনামায় কুলাউড়ার কৃষি ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক ও ডাকঘর সঞ্চয়পত্রের তথ্য গোপন করা হয়েছে।

শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে জানতে বশির উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরমান আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, '১৯৭০ সালের কোনো রেকর্ড আমাদের কাছে নেই।'

রফিকুল ইসলাম রেনুর বিরুদ্ধে দেওয়া এসব অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় তার প্রার্থিতার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছের মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন আকন্দ।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুলের আরও অভিযোগ, চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সবাই আওয়ামী লীগের হলেও উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসকে নিজের নির্বাচনী অফিস হিসেবে ব্যবহার করছেন রফিকুল ইসলাম রেনু।

প্রায় ৫০ বছর ধরে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত রফিকুল ইসলাম রেনু ভোটের মাঠে সরব প্রচারণা চালাচ্ছেন। নানামুখী আলোচনা-সমালোচনায় রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের এই সভাপতি।

তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন, 'আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে রিটার্নিং অফিসার যাচাই-বাছাই করে নমিনেশন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছেন। আর আমার সম্পদ নিয়ে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ কাল্পনিক।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

3h ago