নর্থ বেঙ্গল পেপার মিল চিরতরে বন্ধ, জমি ব্যবহার রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য

নর্থ বেঙ্গল পেপার মিল। ছবি:স্টার

পাবনার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহারের জন্য মিলের জমি হস্তান্তর করা হয়েছে। এতে উত্তরবঙ্গের অন্যতম ভারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানটির ৫৬ বছরের পথচলা শেষ হলো।

লোকসানের কারণে ২০০২ সালে নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দেয় সরকার। এর পর বিভিন্ন সময় চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আর হয়নি। জমি হস্তান্তরের উদ্যোগ নেওয়ার পর জুলাই মাসে শেষ দুই কর্মকর্তাও কাগজকল ছেড়ে গেছেন।

ঈশ্বরদীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পি এম ইমরুল কায়েস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন ইতোমধ্যে মিলের জায়গা হস্তান্তরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জমি হস্তান্তরের পরে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) কর্মকর্তারা মিল এলাকা ছেড়ে গেছেন।

নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দ্বায়িত্বে নিয়োজিত সিরাজুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এখন মিলে কোনো কাজ না থাকায় বিসিআইসির কর্মকর্তারা প্রধান কার্যালয়ে যোগ দিয়েছেন।

১৯৬৬ সালে পাকশি হার্ডিঞ্জ ব্রিজের উত্তরপাশে ১৩৩ একর জায়গার ওপর নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলের প্রতিষ্ঠা। একসময় এটি ছিল উত্তরাঞ্চলের অন্যতম ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে কাগজ উৎপাদন শুরু হয়। পরে ১৯৭৫ সালে পুরদমে মিলের উৎপাদন শুরু হয়। এক সময় এই মিলে হাজারের বেশি শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করতেন।

লোকসানের কারণে তৎকালীন চার দলীয় জোট সরকার ২০০২ সালে মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় চালুর উদ্যোগ নেয়া হলেও পরবর্তীতে তা আর চালু করা সম্ভব হয়নি। মিলটি বন্ধ করা হলেও দাপ্তরিক কাজের জন্য এখানে কয়েকজন কর্মকর্তা ছিলেন।

কাগজকল এলাকার বাসিন্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আমিরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, পাকশি পেপার মিল ছিল এই অঞ্চলের উন্নতির প্রথম ধাপ। মিলটি এ অঞ্চলের মানুষের সুখ-দুঃখের স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে ছিল।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh 2025-26 budget

Budget to shrink amid fiscal strain

Bangladesh’s interim government is preparing to unveil a rare contractionary budget on June 2, driven by a sharp rise in interest payment that is crowding out fiscal space and forcing spending cuts.

12h ago