প্রথমবারের মতো ৫-১১ বছর বয়সী শিশুরা করোনার টিকা পেল

আগামী ২৫ আগস্ট থেকে মূল কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগে পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকায় ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী মোট ১৬ স্কুলছাত্রকে বিশেষভাবে তৈরি করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।
আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নিধি নন্দিনী দাসকে প্রথম এই টিকা দেওয়া হয়। ছবি: মওদুদ আহম্মেদ সুজন/স্টার

আগামী ২৫ আগস্ট থেকে মূল কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগে পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকায় ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী মোট ১৬ স্কুলছাত্রকে বিশেষভাবে তৈরি করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার শেরে বাংলা নগর এলাকার আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নিধি নন্দিনী দাসকে প্রথম এই টিকা দেওয়া হয়।

ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শিশুদের পরীক্ষামূলক এই টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, 'আজকের পরীক্ষামূলক টিকাদানের পর কেবল সিটি করপোরেশন এলাকায় এই প্রচারাভিযানটি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দেশব্যাপী তা বাস্তবায়ন করা হবে।'

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিশুদের টিকাদানের মূল কর্মসূচি আগামী ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হবে। প্রথমে শুধু সিটি করপোরেশন এলাকায় এ কার্যক্রম শুরু হবে এবং ক্রমান্বয়ে দেশব্যাপী হবে।

এই কর্মসূচির আওতায় কতজন শিশুকে টিকা দেওয়া হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আমাদের কর্মসূচির আওতায় আসবে এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ লক্ষ্যে কাজ করছে।'

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ কোটি ১৯ লাখ ৩২ হাজার ৬৩৮।

তবে, এর বাইরেও মাদ্রাসা, কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থী ও পথশিশু রয়েছে।

গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ক্রমান্বয়ে মাদ্রাসা, কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থী ও পথশিশুদের টিকাদানের আওতায় আনা হবে। আমরা এ পর্যন্ত শিশুদের জন্য ফাইজার ভ্যাকসিনের ৩০ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছি।'

Comments