‘হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংস্কারে সম্মতি দিতে সংসদে ১০ জন সদস্য নেই’

‘হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংস্কারে সম্মতি দিতে সংসদে ১০ জন সদস্য নেই’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন/স্টার

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, 'সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হওয়ায় সরকারের অনুমতি ছাড়া হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংসদে তোলা যায়না। আবার সে আইন যদি তুলি সেক্ষেত্রেও ১০ জন সংসদ সদস্যের সম্মতি লাগবে। কিন্তু ১০ জন সংসদ সদস্য তো নাই। যেকোনো আইনের ক্ষেত্রে এটি লাগবে। যারা প্রবীণ বিশেষজ্ঞ আছেন তারা যদি একমত হোন তবে সম্ভব।'  

আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংস্কারের প্রসঙ্গে আলোচনায়  প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, 'হিন্দু আইন সংস্কারে সরকার একটি আধুনিক আইন  করবে। সেটা পার্লামেন্টে আলোচনা হবে, মন্ত্রী পরিষদে আলোচনা হবে, আইন মন্ত্রণালয়ে মিটিং হবে, তারপর তার অধীনের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে যাবে। স্ট্যান্ডিং কমিটিতে যাওয়ার পর যদি একমত হয় তাহলে পাশ করতে অসুবিধা নেই। সরকারের এই ব্যাপারে সদিচ্ছার অভাব আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক কিছু পারেন, কিন্তু সব কি পারেন? আইনের কেবিনেট মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের পরও এদেশের আমলারা কলমের দ্বারা আইনটা ঘুরিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চাইলেই যে সব হবে এমনটা না।'

আলোচনায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ বলেছেন, 'আমি বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ। আমি আমার পিতার সম্পত্তি পাইনি। কিন্তু আমি আমার পিতার উত্তরাধিকার পেয়েছি কর্মের মাধ্যমে। আমার বাবা একজন জজ ছিলেন। আমি জজ হয়েছি। আমি মনে করি মেয়েরা নিজ যোগ্যতায় অধিকার আদায় করে নিবে। আমার পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে দুই ভাই উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তিতে অধিকার পেয়েছে। আর ৩ বোনের মধ্যে আমি বাবার কর্মের উত্তরাধিকার পেয়েছি। কিন্তু এই সুযোগ সবার জীবনে আসবে না। আমি সেই ভাগ্যবানের মধ্যে একজন।'

তিনি আরও বলেন, 'অক্টোবর পর্যন্ত আমি আইনের লোক। কিন্তু ৯ অক্টোবরের পর অবসরে যাওয়ার পর আমিও আপনাদের সাড়িতে দাঁড়াবো। তখন আমি আন্দোলনকারী হিসেবে দাঁড়াবো। তখন আইনের অধিকার কীভাবে আদায় করতে হয়, সেজন্য পাশে থাকব। আমি এখন যেহেতু আইনের জগতে আছি আমি কোনো উত্তর দিতে পারব না। এরজন্য আমি দুঃখিত, কারণ আইন আপনাদের (ভুক্তভোগী) অধিকার দেয় না।'

বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদের সভাপতি ময়না তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলী সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্তসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক পুলক ঘটক। 

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago