মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশ কূটনীতিকদের সহায়তা চায়

আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্তের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশী কূটনীতিকদের ব্রিফিং দিয়েছে। যেকোনো ধরনের সংঘাত প্রতিহত করে পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য কূটনীতিকদের সহায়তা চেয়েছে ঢাকা।
বাংলাদেশের আকাশসীমায় মিয়ানমারের হেলিকপ্টার। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের আকাশসীমায় মিয়ানমারের হেলিকপ্টার। ছবি: সংগৃহীত

আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্তের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশী কূটনীতিকদের ব্রিফিং দিয়েছে। যেকোনো ধরনের সংঘাত প্রতিহত করে পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য কূটনীতিকদের সহায়তা চেয়েছে ঢাকা।

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব অ্যাডমিরাল (অব:) খুরশেদ আলম রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক ব্রিফিং শেষে বলেন, 'আমরা তাদেরকে জানিয়েছি যে মিয়ানমারকে এই পুরো অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি এবং রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে দেওয়া যাবে না।'

তিনি জানান, সরকার মিয়ানমারের পক্ষ থেকে মর্টারের গোলা ও বুলেট হামলার ঘটনাগুলো প্রতিহত করার জন্য বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

বিদেশি কূটনীতিকরা আশ্বস্ত করেন, তারা তাদের নিজ নিজ সদর দপ্তরকে এ বিষয়টি জাতিসংঘের কাছে উত্থাপন করার কথা জানাবেন।

মিয়ানমারের উসকানিতে সাড়া না দিয়ে বিষয়টিকে কূটনীতির মাধ্যমে মোকাবিলা করার জন্য তারা বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।

আগস্টের শুরু থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাত বাংলাদেশের সীমান্তে ভীতির সৃষ্টি করেছে।

গত শুক্রবার মিয়ানমার থেকে আসা মর্টারের গোলা নো-ম্যান্স ল্যান্ডে আঘাত করলে ১ রোহিঙ্গা নিহত ও ৫ জন আহত হন।

এসব ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদেরও জীবন-জীবিকা প্রভাবিত হয়েছে।

খুরশেদ আলম বলেন, 'সংঘাতের কারণে বাংলাদেশিদের ওপর যেনো কোনো চাপ না পড়ে, সে উদ্যোগ নিতে আমরা তাদেরকে অনুরোধ করেছি।'

সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট অ্যাসিয়ান ন্যাশনসের (আসিয়ান) কূটনীতিকদের এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্রিফিং দেওয়া হয়।

Comments