মুন্সিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ৪০

মুন্সিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ৪০
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসিসহ ২৫-৩০ জন ও বিএনপির ১০-১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

আজ বুধবার বিকেল ৩টার পর এই সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় ৪০-৫০ মিনিট ধরে সংঘর্ষ চলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপির পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করলে তাদের পুলিশ বাধা দেয়।

পুলিশ জানায়, এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশ ও সাংবাদিকদের কয়েকটি মোটর সাইকেলে আগুন দিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।

আহত পুলিশ সদস্যরা মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।

এদিকে, সংঘর্ষে আহত ৩ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তারা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০), তারেক (২০) ও শাওন (২০)। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও শাওনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিকেল সাড়ে ৫টার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একে একে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। জাহাঙ্গীরকে নাক-কান-গলা বিভাগে, বাকি দুজনকে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জাহাঙ্গীর ও শাওনের অবস্থা গুরুতর।

পথচারী আলমগীর হোসেন জানান, বিকেলে মুক্তারপুর ব্রিজের পাশে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় জাহাঙ্গীরকে। তার মুখমন্ডলে গুরুতর জখম হয়েছে। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।

তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।

ঢামেকে চিকিৎসাধীন তারেক বলেন, 'আমি ছাত্রদলের কর্মী। বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়েছিলাম। পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আমার কপালে আঘাত করে।'

আহত শাওনের বন্ধু নাহিদ খান জানান, শাওন একজন মিশুক গাড়ি চালক। যাত্রী নিয়ে সমাবেশে গিয়েছিলেন। তখন আহত হয়েছেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

1h ago