ডিসির প্রতি অবিচার করা হয়েছে: সাবেক মেয়র নাছির

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ‘চট্টগ্রামের সর্বস্তরের সুধি সমাজ’ এর ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ছবি: স্টার

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে 'স্বার্থাণ্বেষী ও সংঘবদ্ধ একটি মহল মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র' করছে বলে জানিয়ে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে পুনরায় তাকে রিটার্নিং কর্মকতা হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার জোর দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।

আজ বুধবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে 'চট্টগ্রামের সর্বস্তরের সুধি সমাজ' এর ব্যানারে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

একই সাথে ডিসির বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

লিখিত বক্তব্যে 'চট্টগ্রামের সর্বস্তরের সুধি সমাজ' এর পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, 'চিহ্নিত ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান, জনগণ এবং রাষ্ট্রের পক্ষে সততা-নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করা ডিসির জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আরও বিভিন্ন ইস্যু সামনে এনে স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ স্বার্থান্বেষী মহলটি এখন ক্ষুব্ধ জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে।'

'আমরা মনে করি, স্বার্থান্বেষী সব মহলের মিলিত চেষ্টার ফল হচ্ছে, ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ এবং তাকে বিতর্কিত করে আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া। আমরা জানতে পেরেছি, মিথ্যা সংবাদ প্রকাশসহ আরও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তাকে বিতর্কিত করতে রিটার্নিং কর্মকর্তার পদ থেকে অব্যাহতির পর নতুন করে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতেছে স্বার্থান্বেষী মহল ও সংঘবদ্ধ চক্রটি। সভাকক্ষে কথিত মোনাজাতকে নিয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।'

সংবাদ সম্মেলনে নগর আওয়ামী লীগ নেতা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আজম নাছির উদ্দিন বলেন, 'তিনি সুযোগ্য জেলা প্রশাসক, উনার প্রতি অবিচার হয়েছে, তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করে এটার যথাযথ তদন্ত করে এই মিথ্যা অপবাদ থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হোক।'

সংবাদ সম্মেলনে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, আইবিএফবি সভাপতি ও বিজিএমইএ'র সাবেক প্রথম সহ সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রাম এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, সম্পাদক প্রকৌশলী এসএম শহীদ উল আলম, বিভাগীয় ক্রিড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন মো. আলমগীর, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, একুশ পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আহম্মেদ ইকবাল হায়দার, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহাব, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিস্তি, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ আশিক ইমরান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক রেজাউল করিম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতি বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য জাহেদুর রহমান সোহেল, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত কাঞ্চন, সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার দেব, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি আশীষ কুমার ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেনসহ আরও অনেকে।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

9h ago