রহিমা বেগম জন্মনিবন্ধন করতে বোয়ালমারী ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলেন

খুলনা থেকে নিখোঁজ রহিমা বেগম (৫২) ফরিদপুরের বোয়ালমারী ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে থাকাকালীন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মনিবন্ধন করার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।
রহিমা
রহিমা বেগম। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা থেকে নিখোঁজ রহিমা বেগম (৫২) ফরিদপুরের বোয়ালমারী ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে থাকাকালীন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মনিবন্ধন করার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।

বোয়ালমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, 'গত ২২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টার দিকে রহিমা বেগম তার কাছে যান। রহিমা বেগম তাকে বলেন, তার জন্ম সৈয়দপুর গ্রামে, তার শৈশব কেটেছে সৈয়দপুরে। তবে পরবর্তীতে তাকে ঘটনাচক্রে বাগেরহাট গিয়ে দীর্ঘদিন থাকতে হয়। সেখানে তিনি বিভিন্ন বাড়িতে কাজের লোক হিসেবে কাজ করতেন। তিনি আবার তার জন্মভিটায় ফিরে এসেছেন। আসার পর তিনি দেখতে পান তার ভাইয়েরা তাকে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছেন। এজন্য তার জন্ম নিবন্ধন করা প্রয়োজন।'

চেয়ারম্যান রহিমা বেগমকে চেনেন না বলে জানান। 

'আপনার বয়সও অনেক। আপনি যে এলাকার বাসিন্দা সেই এলাকার ইউপি সদস্য যদি আপনাকে প্রত্যয়ন করতে পারেন তাহলে জন্মনিবন্ধন করে দেওয়া যাবে। এ কথা শুনে রহিমা বেগম ইউপি কমপ্লেক্স থেকে বের হয়ে যান। আর তিনি আসেননি,' বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান।

কুদ্দুস মোল্লার বাড়িটি ওই ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মোশাররফ হোসেন।

তিনি জানান, ইউপি চেয়ারম্যান তার কাছে রহিমার কথা জানতে চান। গত ২৩ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যান তাকে এ বিষয়টি জানান এবং এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে বলেন।

ইউপি সদস্য বলেন, তিনি পরে রহিমা বেগম সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে চেয়ারম্যানকে জানান রহিমা বেগম এই এলাকার বাসিন্দা নন। তিনি কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। কুদ্দুস মোল্লা যখন খুলনা ছিলেন তখন রহিমার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সেই পরিচয়ে তার এ বেড়াতে আসা।

কুদ্দুস মোল্লার ভাগিনা মোহাম্মদ জয়নাল বলেন, আমরা শুনেছি রহিমা বেগম ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করেছিলেন। কিন্তু কী কারণে তিনি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলেন তা তিনি জানেন না।

আদালতের আদেশে রহিমা বেগম তার মেয়ে আদুরী আক্তারের জিম্মায় আছেন। তিনি এখন তার মেয়েদের সঙ্গে অবস্থান করছেন।

বোয়ালমারীতে জন্ম নিবন্ধন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দীর্ঘদিনের ধকল ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় মা কারও সঙ্গেই কথা বলছেন না। এ বিষয়ে আমরা তাকে কিছু জিজ্ঞেস করিনি এবং আমরা জানিও না। তার কাছ থেকে পুলিশ বিভিন্ন বিষয় জানতে চেয়ে তথ্য নিয়েছেন। এ বিষয়ে তারাই ভালো বলতে পারবেন।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ বিষয়ে প্রশ্ন করার মতো অবস্থায় এখন তিনি নেই।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Mob beating at DU: Six students confess involvement

Six students of Dhaka University, who were arrested in connection with killing of 35-year-old Tofazzal Hossain inside their hall on Wednesday, confessed to their involvement in the crime before a magistrate

9h ago