মরিয়ম মান্নানের মা ফরিদপুর থেকে জীবিত উদ্ধার: পুলিশ

খুলনার দৌলতপুর থেকে নিখোঁজ হওয়া রহিমা বেগমকে ফরিদপুর থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রহিমা বেগম। ছবি: সংগৃহীত

খুলনার দৌলতপুর থেকে নিখোঁজ হওয়া রহিমা বেগমকে ফরিদপুর থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

দৌলতপুরের বণিকপাড়া থেকে থেকে ২৯ দিন আগে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন। পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে তাকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে উদ্ধার করা হয়।

বোয়ালমারী থানার ওসি আব্দুল ওহাব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি দল বোয়ালমারীর সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে। তাকে খুলনায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

রহিমা বেগমের সন্ধান চেয়ে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান।

রহিমা বেগমকে উদ্ধারের ব্যাপারে মরিয়ম মান্নান ফেসবুকে লিখেছেন, 'খুলনার পুলিশ সুপার কল দিয়ে জানালেন আমার ছোট বোনকে আমার মা'কে পাওয়া গিয়েছে। আমার থেকে খুশি এই মুহুর্তে কেউ নেই। আমি এই মুহুর্তে খুলনা যাচ্ছি। ধন্যবাদ সকলকে।'

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া ডেইলি স্টারকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দৌলতপুর জোনের এডিসির নেতৃত্বে দৌলতপুর থানা পুলিশ রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে।

 'তাকে নিয়ে পুলিশের দলটি খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। খুলনায় আনার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে, তিনি অপহৃত হয়েছিলেন নাকি আত্মগোপনে ছিলেন, বলেন কেএমপি কমিশনার।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া কেএমপির এডিসি নর্থ আব্দুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, সাড়ে ১০টার দিকে অভিযান শুরু হয়ে শেষ হয় সাড়ে ১১টায়।

উদ্ধার হওয়া রহিমা বেগমের বড় ছেলে মোহাম্মদ মিরাজ আলী সাদি ডেইলি স্টারকে বলেন কেএমপির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমাদেরকে ফোন করে জানিয়েছেন মাকে ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা থানার দিকে যাচ্ছি।

গত ২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে বাড়ির উঠানের নলকূপে পানি আনতে যান রহিমা বেগম। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। গত শুক্রবার তার মরদেহ পাওয়া যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মরিয়ম মান্নান।

ময়মনসিংহের ফুলপুর থেকে উদ্ধার বস্তাবন্দি অজ্ঞাতনামা এক নারীর মরদেহ থেকে সংগ্রহ করা আলামতের ছবি দেখে তারা শনাক্ত করার কথা বলেছিলেন।

 

Comments