পদ্মা সেতুতে ৩ মাসে ২০০ কোটি টাকা টোল আদায়

পদ্মা সেতুর টোলা প্লাজা। স্টার ফাইল ছবি

পদ্মা সেতুতে আদায় করা টোলের পরিমাণ ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ২৬ জুন সেতুতে যান চলাচল শুরুর পর থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯২ দিনে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে মোট টোল আদায় হয়েছে ২০১ কোটি ১৩ লাখ ২৭ হাজার ৫০ টাকা। সেতু পারাপার হয়েছে ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮৫২টি যানবাহন।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের দ্য ডেইলি স্টারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। এর পরদিন সকাল ৬টা থেকে সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়। সেতু চালু হওয়ার পর বদলে গেছে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা।

প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের বলেন, শিগগির কালনা সেতু চালু হতে যাচ্ছে। তাতে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় বাড়বে। কালনা সেতু উদ্বোধন হলে যানবাহনের চাপও বাড়বে। আশা করছি অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ সামলাতে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ১৫ হাজার ৫৬৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। গড়ে দৈনিক টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ১৬ লাখ ২৭ হাজার ১৭২ টাকা। এর মধ্যে জুলাই মাসে সর্বোচ্চ ৭৮ কোটি ৫০ লাখ ১৯ হাজার ৪০০ টাকা আদায় হয়েছে। ওই মাসে সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৮৭ হাজার ২০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। প্রতিটি যানবাহন থেকে গড়ে ১ হাজার ৩৮৯ টাকা টোল আদায় হয়েছে।

এক দিনের হিসাবে ১৬ জুন সেতুতে সর্বোচ্চ ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন পারাপার হয়। আর টাকার অঙ্কে ৮ জুলাই সর্বোচ্চ ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা টোল আদায় হয় পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে।

সেতু চালুর পর জুন মাসের ৫ দিনে পদ্মা সেতু পারাপার হয় ১ লাখ ১৭ হাজার ১০৪ টি যানবাহন। এই মাসে টোল আদায় হয় ১০ কোটি ১৪ লাখ ১ হাজার টাকা।

জুলাই মাসের ৩১ দিনে যানবাহন পারাপার হয় ৫ লাখ ৮৭ হাজার ২০টি। ওই মাসে টোল আদায় হয় ৭৮ কোটি ৫০ লাখ ১৯ হাজার ৪০০ টাকা।

আগস্ট মাসের ৩১ দিনে সেতু পারাপার হওয়া ৪ লাখ ১২ হাজার ৩০৩টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয় ৬১ কোটি ৯৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪০০ টাকা।

সেপ্টেম্বর মাসের ২৬ দিনে পদ্মা সেতু পার হওয়া ৩ লাখ ৩১ হাজার ৪২৫টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয় ৫০ কোটি ৫১ লাখ ৭১ হাজার ৪০০ টাকা।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago