উৎপাদন কমে গেলে কোনো কিছুই আমাদের রক্ষা করতে পারবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী
কৃষি উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, উৎপাদন কমে গেলে কোনো কিছুই আমাদের রক্ষা করতে পারবে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য মুদ্রাস্ফীতির কথা বলে কিন্তু তারা নির্বাহী কাজ কম করে। তারা বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়। আমরাও মোটামুটি বাজারের দিকে যাচ্ছি। যেহেতু আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে আছি, সে জন্য কৌশলগত কাজ চালিয়ে যাব। প্রধানমন্ত্রী খুব চিন্তিত, মুদ্রাস্ফীতি কীভাবে আরও কমিয়ে আনা যায়।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) পূর্বভাস দিচ্ছে, খাদ্যের অভাব হতে পারে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের খাদ্যের অভাব কমাতে প্রাথমিকভাবে উৎপাদন বাড়াতে হবে। যতই আমি তর্ক করি না কেন, লিখি না কেন, যদি উৎপাদন না বাড়াই আমার কোনো ফায়দা হবে না। এ জন্য কৃষির ওপর আমাদের মনোযোগ আরও বেশি দেবো। শুধু বলে নয়, সহায়তা দিয়ে। ভর্তুকি, বীজ, সার, পানি, বিপণন, চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থা যেটা আমাদের হাতে আছে এটা সচল রাখতে হবে। আমাদের স্পর্শকাতর অবস্থা এখন। যদি কাজ বন্ধ হয়ে যায়, উৎপাদন কমে যায়, ট্রাক চলাচল বিঘ্নিত হয়, তাহলে কোনো কিছুই আমাদের এই ছোবল থেকে রক্ষা করতে পারবে না।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, গ্রামাঞ্চলে আমাদের কৃষি খাতে শান্তি বিরাজ করছে, তার সার্বিক সুরক্ষা দিতে হবে। মাঠে যে ফসল আছে রোপা আমন তার প্রাথমিক সংবাদ খুবই ভালো। একটা ভীতি ছিল সেপ্টেম্বরের শেষে বা অক্টোবরের শুরুতে একটা আগাম বন্যার সম্ভাবনা ছিল। বিশেষত হাওর এলাকায়। আমার মনে হয়, সে অবস্থায় পার হয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী ১ কোটি পরিবারকে কম মূল্যে চাল সরবরাহ করলেন এতে বাজারের ওপর সরাসরি ইতিবাচক প্রভাব এসেছে। সরকার আমদানি খুলে দিয়েছে কিন্তু আমদানিকারকরা চাল আনেননি। কারণ আমাদের ঘরে প্রচুর চাল আছে। ব্যবসায়ীরা বোঝেন কখন চাল আনতে হবে। অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ অবস্থা ভালো। মজুত ভালো আছে, ভয়ের অত কারণ নেই। তবে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত, দুমাস পরে কী হবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী গুদামজাতকরণ, বিপণন ও চলাচলের ওপর গুরুত্ব দিতে বলেছেন। যে কোনো অবস্থায় বাজার যেন ব্যাহত না হয়, বলেন তিনি।
Comments