সংবাদপত্রের সার্কুলেশন সংক্রান্ত ডিএফপির তথ্যের ওপর হাইকোর্টের রুল

ঢাকা থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিক পত্রিকার সার্কুলেশন, গ্রেডেশন ও বিজ্ঞাপনের হার পরিবর্তনে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) গৃহীত ব্যবস্থার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।
২১ আগস্ট, গ্রেনেড হামলা
ফাইল ছবি

ঢাকা থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিক পত্রিকার সার্কুলেশন, গ্রেডেশন ও বিজ্ঞাপনের হার পরিবর্তনে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) গৃহীত ব্যবস্থার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।

এসব পরিবর্তন আনা এবং পরিবর্তিত তথ্য চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ডিএফপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট একটি রুলও জারি করেছে।

তথ্যসচিব, ডিএফপির মহাপরিচালক, অডিট ব্যুরো অফ সার্কুলেশনের পরিচালক ও উপপরিচালককে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ডিএফপির এ কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফারহাত জাহান শিরিনের করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশিরউল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

ঢাকা থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিক পত্রিকার সার্কুলেশন সংখ্যা, গ্রেডেশন ও বিজ্ঞাপনের রেট কেন সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

আবেদনকারীর আইনজীবী দেওয়ান মো. আবু ওবায়েদ হোসেন সেতু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাংলা দৈনিক পত্রিকার সার্কুলেশন, গ্রেডেশন ও বিজ্ঞাপনের হারে ইচ্ছামতো, নোংরা ও অবৈধ উপায়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে।'

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, 'দৈনিক আমদের অর্থনীতির সার্কুলেশন ছিল ১ লাখ ৬১ হাজার ১০৮ এবং তালিকায় এর অবস্থান গত বছর ছিল ১১। কিন্তু ডিএফপির ওয়েবসাইটে এর সার্কুলেশন ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৩৫ দেখানো হয়েছে এবং এ বছর তালিকায় এর অবস্থান হয়েছে ১৭।'

'এছাড়া দৈনিক মুক্ত খবরের সার্কুলেশন ছিল ১ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ এবং এর অবস্থান গত বছর ছিল ২০। কিন্তু ডিএফপির তালিকায় এর অবস্থান এখন ৩৮ এবং সার্কুলেশন ৯৫ হাজার ৮০০, যা এক ধরনের প্রতারণা ও অবৈধ।'

তিনি আরও বলেন, 'ডিএফপির এই বেআইনি কাজ সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপনের হারের ওপর মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলেছে এবং এর ফলে প্রায় ২০ হাজার গণমাধ্যমকর্মী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।'

Comments