যুক্তরাজ্য চায় না মিয়ানমারে ‘তাদের’ বিনিয়োগের বিষয়ে কথা বলি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

momen.jpg
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের ওভারসিস টেরিটরি থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে মিয়ানমারে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রামন্ত্রী এ. কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, ব্রিটিশরা চায় না আমি এটা বলি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুরু থেকে ব্রিটিশরা আমাদের সাহায্য করছে। ইউএনএইচসিআরও করছে। কিন্তু সম্প্রতি আমি মর্মাহত হয়েছি। ব্রিটিশরা চায় না আমি এটা বলি, সেটা হলো ব্রিটিশ সরকার না তবে তাদের অনেকগুলো ওভারসিস টেরিটরি আছে, মিয়ানমার সরকারের তথ্য অনুযায়ী, সেসব টেরিটরি থেকে গত ৪-৫ বছরে ৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে মিয়ানমারে। আর শুধুমাত্র ২০২০-২১ সালে, ১ বছরে বিনিয়োগ হয়েছে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। আমি বলেছি, গণহত্যার বিরুদ্ধে তোমরা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় আর তোমার দেশ থেকে বিনিয়োগ হয়েছে। তারা জবাবে বলেছে, তাদের দেশ থেকে নয়, ওভারসিস টেরিটোরি থেকে হয়েছে। তারা আরও বলেছে, এসব নিয়ে বেশি কথা না বলতে।

চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আজ রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আমরা জাপানকে অনুরোধ করেছি, তারা যেন আমাদের সাহায্য করে এই মামলার ব্যাপারে। তারা অনেক ঘর-বাড়ি বানিয়ে দিচ্ছে মিয়ানমারকে রোহিঙ্গারা যেন ফেরত যেতে পারে। যেভাবে চীন মডারেটর হিসেবে কাজ করেছে, আমরা চেয়েছিলাম জাপানও আসুক কিন্তু তারা সেভাবে এখনো আসেনি। তবে তাদের আগ্রহ আছে। মিয়ানমারেও তাদের আগ্রহ আছে। মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খুব ভালো, বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার এই সমস্যা তৈরি করেছে এবং মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে নিয়ে যেতে হবে। তাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হলো আসল সমাধান। এর বিকল্প কিছু নেই, এটা মিয়ানমারকে করতে হবে। মিয়ানমারের বন্ধু দেশকেও আমরা তাই বলি, এতে তাদের লাভ। কারণ এই লোকগুলো অনেক দিন এখানে থাকলে, এরা তো হতাশাগ্রস্থ লোক, স্টেটলেস লোক। এরা খুব সহজেই বিভিন্ন রকম এক্সট্রিমিজমে পা দিতে পারে। কোনো কোয়ার্টার তো আছেই এদের বিভিন্নভাবে প্ররোচনা দেয়। সুতরাং এর তাড়াতাড়ি সমাধান দরকার। আমরা দ্রুত এর স্থায়ী সমাধান চাই।

জনশক্তি রপ্তানিতে লিবিয়ার সঙ্গে শিগগির সমঝোতা জানিয়ে তিনি বলেন, মাঝে লিবিয়ার শ্রম বাজার বন্ধ ছিল। আমরা এটা ওপেন করে দিয়েছি। এখন বৈধ পথে যাচ্ছে। আমরা শিগগির সমঝোতা সই করবো।

Comments

The Daily Star  | English

Israeli military official: estimated to have struck two thirds of Iran's missile launchers

Iran and Israel traded further air attacks on Thursday as Trump kept the world guessing about whether the US would join Israel's bombardment of Iranian nuclear facilities.

17h ago